ইরাকের পার্লামেন্ট সমকামী সম্পর্ককে (Same-Sex Relationships) অপরাধ হিসেবে গণ্য করে একটি আইন পাস করেছে। অন্যথায়, সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে৷ ধর্মীয় মূল্যবোধ ধরে রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে৷ তবে মানবাধিকার সমর্থকরা এটিকে ইরাকের এলজিবিটিকিউ (LGBTQ) সম্প্রদায়ের ওপর সর্বশেষ হামলা বলে নিন্দা করেছে৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা আইনটির একটি অনুলিপিতে বলা হয়েছে, শনিবার গৃহীত আইনটির লক্ষ্য 'ইরাকি সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় এবং বিশ্বে ছাড়িয়ে যাওয়া সমকামিতার আহ্বান থেকে রক্ষা করা' [protect Iraqi society from moral depravity and the calls for homosexuality that have overtaken the world]। ইরাকের সংসদের বৃহত্তম জোট রক্ষণশীল শিয়া মুসলিম দল দ্বারা এই আইন সমর্থিত। এই আইন না মানলে কমপক্ষে ১০ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রচার করলে কমপক্ষে সাত বছরের কারাদণ্ডের দেওয়া হবে। Iraqi TikTok Star Shot Dead: বাগদাদে ইরাকি টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা, দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও
#Iraq's parliament passed a law criminalising same-sex relationships. The Law bans same-sex relations with a maximum of 15 years in prison and mandates at least seven years in prison for anybody who promotes homosexuality or prostitution.
File Pic pic.twitter.com/kymgiVHXFM
— All India Radio News (@airnewsalerts) April 28, 2024
সংশোধিত আইন অনুসারে লিঙ্গ পরিবর্তনকেও একটি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। এই বিষয়ে জড়িত ব্যক্তি এবং ডাক্তারদের অস্ত্রোপচার করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হবে। বিলটিতে প্রাথমিকভাবে সমকামী সম্পর্কের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র বিরোধিতার মুখে তা পাস হওয়ার আগে সংশোধন করা হয়। ইরাকের রক্ষণশীল সমাজে সমকামিতা এমনিতেই নিষিদ্ধ, তবে এর আগে এমন কোনও আইন ছিল না যা সমকামী সম্পর্ককে স্পষ্টভাবে শাস্তি দেয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইরাকুইয়ার বেসরকারী সংস্থার ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এলজিবিটিকিউ ইরাকিদের অন্ধকারে থাকতে বাধ্য করা হয় এবং প্রায়শই তাঁরা অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন এবং হত্যার লক্ষ্যবস্তু হতে হয়।