প্যারিস, ২৩ আগস্ট: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে (Paris) রাজকীয় অভ্যর্থনায় স্বাগত জানানো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্যারিসে অবস্থিতি ইউনেস্কোর (UNESCO) সদর দপ্তরেও ঊষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন নরেন্দ্র মোদি। অভ্যর্থনা সভায় উপস্থিত অভ্যাগতদের বেশিরভাগই ছিলেন প্রবাসী ভারতীয়। সেখানে নিজের সরকারের ক্রিয়াকর্মের গুনগান শুরু করেন তিনি। বলেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই দেশ থেকে দুর্নীতির মূল উপড়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে, স্বজনপোষণ, জনগণের টাকা লুটের প্রক্রিয়াতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তিন তালাক বিল সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়ে গিয়েছে। খুব শিগগির তা আইনে বদলে যাবে। এই রকম বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল ইতিমধ্যে পাস হয়ে গিয়েছে। গত ৭০ বছরের গলার কাঁটা কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলুপ্ত হয়েছে।
নতুন ভারত গড়তে স্বল্প সময়েই প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বর্তমান বিজেপি সরকার। এবার এসেছি ফ্রান্সের সঙ্গে পুরনো মৈত্রী আরও দৃঢ় করতে। এবার থেকে ভারত-ফ্রান্সকে সবাই এক ডাকে ইনফ্রা বলে চিনবে। ইন-ফ্রা-এর(INFRA) অর্থ হল ইন্ডিয়া+ফ্রান্স। এর অর্থ হল ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে বিশেষ বন্ধুত্ব। এই মৈত্রীর সম্পর্ক অটুট তাকবে চিরদিন। একই সহ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার মতো বোঝা নামতে পেরে কতটা স্বস্তি বোধ হচ্ছে। এবার এক জাতি এক দেশের স্বপ্ন সফল হল। এখন একটা সংবিধান। দেশের একটাই জাতীয় পতাকা। কাশ্মীরকে উন্নত করতে যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তার সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সহমত প্রকাশ করেছেন। একারণে ফ্রান্সকে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি নরেন্দ্র মোদি। চন্দ্রযান-২ (CHANDRAJAN-2) ইতিমধ্যেই চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে। বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ দেশ হিসেবে এই কৃতিত্বের পালক এখন ভারতের মুকুটেও শোভা পাচ্ছে। আরও পড়ুন-কাশ্মীর প্রশ্নের আলোচনায় ভারত-পাকিস্তান যথেষ্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই সমর্থন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের
Rapturous welcome for PM @narendramodi at the community programme in Paris! pic.twitter.com/8YzmFf1MUM
— PMO India (@PMOIndia) August 23, 2019
ফ্রান্স সফরে এবার প্রথম বিমানবন্দরেই রেড কার্পেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) স্বাগত জানানো হয়। যেখানে ইউরোপ ও বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী জিন-ইয়ভেস লে ড্রিয়ান (Jean-Yves Le Drian) তাঁকে স্বাগত জানান। তিনদিনের পূর্ব নির্ধারিত সফরে প্রথমেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁকরনের (President Emmanuel Macron) সঙ্গে বৈঠক। তারপর ইউনিসেফের ডিরেক্টর জেনারেল অড্রে অজৌঁলের (Audrey Azoulay) সঙ্গে বৈঠক এবং সব শেষে একটি কমিউনিটি প্রোগ্রামে ভাষণ।