ইমাম তাওয়াহিদি(Photo Credit: twitter)

ইসলামাবাদ, ১৪ আগস্ট: “কাশ্মীর ভারতেরই, কোনও কালেই তা পাকিস্তানের ছিল না। কাশ্মীরের মতো পাকিস্তানও তো ভারতীয় ভুখণ্ডের অংশ। শুধু মাত্র হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্মান্তকরণ করলেই যে সত্যিটা বদলে যাবে তা কিন্তু নয়। হিন্দু রাষ্ট্র কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর তা পাকিস্তান তৈরির আগে থেকেই ভারতের ভূখণ্ড। পাকিস্তান অস্বীকার করলেই তো আর সত্যিটা বদলে যেতে পারে না।” এহেন টুইটেই পাকিস্তানের সেই গবেষক, ইমাম মহম্মদ তাহিদি (Imam Mohammad Tawhidi) এ বার মুখ খুললেন কাশ্মীর প্রসঙ্গে। এবং ভারতের সমর্থনে কার্যত তুলোধনা করলেন নিজের দেশকেই। আরও পড়ুন-বুলেটের আঁচড় ভুলে সবুজায়নে ঢাকুক পাকিস্তান, গাছের চারা পুঁতে ইসলামাবাদ ছাড়লেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত, ছবি ভাইরাল

এই ঘটনার পরেই তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল ভরেছে কমেন্টে। সেখানে কাশ্মীর ভারতের অংশ দাবি করে যেমন মতামত এসেছে। তেমনই কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ বলেছে অনেকেই। তবে বেশ কয়েকজন ইমাম তাহিদিকে সতর্ক থাকতে বলেছেন, এহেন বক্তব্যের পর যে তাঁর ব্যক্তি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল তা স্পষ্ট হয়েই গিয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের পরে পাকিস্তান যে ভাবে ভারতে জঙ্গি নাশকতারল হুমকি দিয়েছে, তার ঘোর বিরোধী ইমাম মহম্মদ তাহিদি। তাঁর কথায়, বিচ্ছিন্নতাকামীরা কাশ্মীরের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। তাদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। ইসলামরা ভুলে যাচ্ছে, তারাও একসময় ভারতেরই অংশ ছিল। উগ্রপন্থা এই সত্যিটাকে বদলে দিতে পারে না।

কাশ্মীরকে নিয়ে সবসময় হিংসার পথে গিয়েছে পাকিস্তান। জঙ্গি সংগঠনকে মদত দিয়ে বার বার জম্মু কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে। ভারত ভূখণ্ডেই পাক জঙ্গিদের নাশকতার ঘটনা প্রচুর। কাশ্মীরের স্পেশ্যাল স্টেটাস তুলে নিতেই পাকিস্তানের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, যেনতেন প্রকারেণ ভারতকে হেনস্তা করতে উঠেপড়ে লেগেছে ইসলামাবাদ। এর মাঝেই ইমাম তাহিদির বার্তা যেন চাবুক হয়ে এল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে ‘শান্তির ইমাম’ বলে পরিচয় দেন মহম্মদ তাহিদি। টুইটারে তাঁর স্টেটাস চরমপন্থার বিরোধী, বাম ও দক্ষিণপন্থীদের থেকে অনেক দূরে থাকা শান্তির দূত। এর আগে বালুচিস্তানকে জঙ্গি মুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল জঙ্গিদের অর্থ ও নিরাপত্তা দিয়ে তোষণ করে পাকিস্তান। মুসলিম মহিলাদের উপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য একাধিক বার কলম ধরতে দেখা গেছে তাঁকে। ইসলাম নারীদের অপহরণ ও শারীরিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলেও সরব হয়েছেন ইমাম মহম্মদ।