নয়াদিল্লি: গাজায় (Gaza) খাদ্যের অভাব চরম আকার ধারণ করেছে। দিনে একবেলা খাবারের জন্য হাহাকার করছে সেখানকার মানুষ, বেঁচে থাকারই কঠোর সংগ্রাম চলছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজার প্রায় ৫ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের (Famine) কবলে এবং অর্ধেক জনগোষ্ঠী (প্রায় ১১ লাখ) খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন ইনিশিয়েটিভ ১২ মে গাজার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিষয় নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে গাজার খাদ্য সংকট অত্যন্ত গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, প্রায় ৫,০০,০০০ মানুষ (জনসংখ্যার ২২%) আইপিসি ফেজ ৫ (বিপর্যয়/দুর্ভিক্ষ) পর্যায়ে রয়েছে। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার এবং জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়াছে। আরও পড়ুন: New UK Immigration Rules: মাত্রা ছাড়াচ্ছে অভিবাসী সংখ্যা, এবার হ্রাস টানতে ব্রিটেনে নয়া অভিবাসন নীতি ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার

গাজায় মানুষের বর্তমান জীবনযাত্রা

গাজার ৬০% বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এবং কৃষি জমি ও হাসপাতালগুলোর অধিকাংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে জীবনযাত্রা এখন থমকে। এদিকে বাজারে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। বেকারত্বের হার (প্রায় ৫০%), প্রায় ১৮ লাখ মানুষ (জনসংখ্যার ৮৫%) ঘরহারা, তাঁরা অস্থায়ী তাঁবু, ভাঙা বাড়ি বা খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছেন।

গাজায় ইজরায়েলের হামলা অব্যাহত

ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও ইজরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ মে, গাজার একটি রেস্তোরাঁ এবং বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলে ইজরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬১ জন নিহত হয়, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। ১০ মে, দেইর আল-বালাহ এবং সাবরা এলাকায় তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোর উপর হামলায় শিশুসহ ২১ জন নিহত হয়েছে।