জেনিভা, ১০ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ (Indian State of Jammu and Kashmir), ৭২ বছর পরে মুখ ফুটে সেকথা স্বীকার করে ফেলল পাকিস্তান। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি (Shah Mehmood Qureshi) রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে যোগ দিয়েই এই কথা বললেন।উপত্যকা নিয়ে কূটনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত। তার মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ বলে জানাল পাকিস্তান। রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বললেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী (Pakistan Foreign Minister)শাহ মেহমুদ কুরেশি। এদিন জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে ১১৫ পাতার বিশেষ ডসিয়ারও জমা দিল পাকিস্তান। সেখানে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কেন্দ্রের মোদি সরাকরের সমালোচনায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ঠিক কী বলেছিলেন তার বিশদ উল্লেখ রয়েছে।
একই সঙ্গে উপত্যকার (Jammu and Kashmir)স্পেশ্যাল স্টেটাস খর্ব সংক্রান্ত বিষয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা যে মন্তব্য করেছিলেন, তারও উল্লেখ রয়েছে ওই ডসিয়ারে। ৩৭০ ধারার বিলোপ ঘটিয়ে আসলে যে কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। ডসিয়ার জমা দেওয়ার পরেই এনিয়ে অভিযোগ তোলেন। শাহ মোহমুদ কুরেশির দাবি, উপত্যকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে যৌথ তদন্ত কমিটি গড়া হোক। অন্যদিকে তিনি যে শুরুতেই কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, তার জন্য কম বিদ্রূপ তাঁকে সহ্য করতে হচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্য ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের একাংশ মশকরা শুরু করেছেন। তাঁদের মতে, ৭২ বছর পর অবশেষে সত্যিটা মেনে নিল পাকিস্তান। তাইতো রাষ্ট্রপুঞ্জে দাঁড়িয়ে কাশ্মীরকে ভারতের অংশ বললেন শাহ মেহমুদ কুরেশি। অন্যদিকে পাকিস্তানিরা তো সেদেশের বিদেশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছে। যে কাশ্মীর তাদের কাছে একেবারে ইজ্জত কা সওয়াল, সেই কাশ্মীর যে ভারতেরই অংশ তা মেনে নিলেন কুরেশি। তাই বিদ্রূপের পাশাপাশি উপর্যুপরি গালমন্দও কম জুটছে না।
#WATCH: Pakistan Foreign Minister Shah Mehmood Qureshi mentions Kashmir as “Indian State of Jammu and Kashmir” in Geneva pic.twitter.com/kCc3VDzVuN
— ANI (@ANI) September 10, 2019
এই মুহূর্তে সুইৎজারল্যান্ডের জেনিভায় (Geneva) রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়েছেন কুরেশি। মঙ্গলবার সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে বলে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাইছে ভারত। তাই যদি হয়, তা হলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, মানবাধিকার সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে ভারতের ওই রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? নিজের চোখে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? দাঁত চেপে মিথ্যা বলে যাচ্ছে ভারত। কার্ফিউ উঠলেই আসল ছবিটা বেরিয়ে পড়বে। আর গোটা বিশ্ব ঘুম ভেঙে দেখবে কী ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে এসেছে সেখানে।’