মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুনিয়ার তিন প্রান্তে তিনটি বড় বিমান দুর্ঘটনা। দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও নরওয়ে। এই তিন জায়গায় তিনটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটল। দক্ষিণ কোরিয়ার মুলান বিমানবন্দরে এক যাত্রীবাহী বিমানে আগুন ধরে ১৭৯ জন মারা গেলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় বিমান দুর্ঘটনা। পাখির সঙ্গে ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এত বড় বিমান দুর্ঘটনা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান। তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুলানে ফিরছিল বিমানটি। ক দিন আগেই দীর্ঘ ১৭ বছর পর মুলান বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু হয়েছিল।
অন্যদিকে, কানাডার বিমান সংস্থার একটি বিমান রানওয়ে থেকে পিছলে আগুন ধরে গেল। এয়ার কানাডার এসি২২৫৯ বিমানটি সেন্ট জন’স থেকে হালিফাস্কে উড়ে আসে। কিন্তু অবতরণের সময়ই বিপত্তি ঘটে। হ্যালিফ্যাক্স বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে গিয়ে কানাডার বিমানের একটি অংশে আগুন ধরে যায়। তবে কোনওরকমে বরাত জোরে বেঁচে যান যাত্রীরা।
আরও পড়ুন-কী ঘটেছিল মুয়ান বিমানবন্দরে? বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু কীভাবে হল জানুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় হত ১৭৯ যাত্রী
179 casualties' after plane with 181 people on board crashes in South Korea. 2 survivors.
The plane’s landing gear failed to drop, so there were no brakes to slow the plane to a stop, so it just collided into the wall at close to full speed. #Boeing pic.twitter.com/8zrB4JskcD
— Dr. Stephen 🇰🇪 (@G_Stevoh_) December 29, 2024
হালিফাস্ক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভাইরাল এক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হ্যালিফ্যাক্স রানওয়ে দিয়ে ছুটে চলেছে একটি বিমান। সেই বিমানের এক অংশে আগুন জ্বলছে।
কানাডা বিমানসংস্থার দুর্ঘটনা
Air Canada Express, operated by PAL Airlines, Bombardier DHC-8-402Q substantially damaged in a landing accident at Halifax Stanfield International Airport.
Air Canada spokesperson Peter Fitzpatrick says the plane experienced a “suspected landing gear issue” after arrival… pic.twitter.com/EvC5FAHZIi
— Breaking Aviation News & Videos (@aviationbrk) December 29, 2024
অন্যদিকে, আবার নরওয়ের ওসলোতে কেএল রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানের ইঞ্জিনের হাইড্রোলিক পাওয়ার বিকল হয়ে যাওয়ায় বড় সমস্যা পড়ে। ওসলো থেকে আমস্টারডামগামী এই বিমানটি এরপর সান্দেজোর্দ বিমানবন্দরে জরুরী অবতরণ করা হয়। এই বিমানবন্দরটি নরওয়ের ওসলো থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে। বিমানটিতে ১৮২ জন যাত্রী ছিলেন। ভাগ্যক্রমে কেউ আহত হননি।
ওসলোয় বিমান দুর্ঘটনা
🚨🇳🇴 Oslo, Norway
Boeing makes an emergency landing & skids off the runway.
There is something going seriously wrong with planes everywhere ‼️ pic.twitter.com/XLdDWsPMfK
— Concerned Citizen (@BGatesIsaPyscho) December 29, 2024
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বরে আজরবাইজনের একটি যাত্রীবাহী বিমান আকাশ থেকে ভেঙে পড়ে কাজকাস্তানে। রাশিয়ান মিসাইলের আঘাতে ভেঙে আজারবাইজান বিমান দুর্ঘটনায় ৩৮ জন মারা গিয়েছিলেন।