Jair Bolsonaro: ব্রাজিলের ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) হিসাবে পরিচিত তিনি। কট্টরপন্থী নেতা তথা ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোরানোর (Jair Bolsonaro) নীতি, কথাবার্তা সবই ট্রাম্পের সঙ্গী মেলে। আর তাই বলসোরানোকে খুবই পছন্দ করে ব্রাজিলের বর্তমান শাসকদের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধ ঘোষণা করছেন ট্রাম্প (President Trump)। সেই বলসোরানোকে সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত করে ২৭ বছরের সশ্রম কারদণ্ডের সাজা দিল ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট। গত ১১ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের প্যানেলের চারজনের সিদ্ধান্তে বলসোনারোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাঁকে ২৭ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে হারের পরেও ক্ষমতা ধরে রাখতে ষড়যন্ত্র, এমনকি প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাকে খুনের চেষ্টারও অভিযোগ আছে ৭০ বছরের বলসোরানোর বিরুদ্ধে। এই সাজা ঘোষণার পর তাঁর সমর্থকদের ব্রাসিলিয়া, রিও সহ দেশের নানা প্রান্তে হাঙ্গামা শুরু করে।
তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জ গঠিত হয়েছিল সশস্ত্র অপরাধী সংগঠন গঠন, গণতন্ত্রকে জোর করে উল্টে দেওয়ার চেষ্টা, অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি, এবং সাংস্কৃতিক সম্পদের ক্ষতি। এছাড়া, নির্বাচনী ব্যবস্থায় জালিয়াতির অভিযোগও ছিল, যার জন্য তাঁকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
২৭ বছর ৩ মাসের জেল
NEWS: 🇧🇷 Former Brazilian President Jair Bolsonaro sentenced to 27 years in prison pic.twitter.com/EG0X6peghF
— World of Statistics (@stats_feed) September 12, 2025
অভিবাসন নীতি থেকে পরিবেশ- ট্রাম্প আর বলসোরানো পুরোপুরি একই অবস্থানে। ট্রাম্পের মতই বলসোরানা মিথ্যা দাবি করে বলেছিলেন, তাকে ভুয়ো ভোটের মাধ্যমে হারানো হয়েছে। তাই বলসোরানোকে জেল থেকে ছাড়ার দাবি জানিয়ে ব্রাজিলের সরকারের উপর সবরকম চাপ তৈরি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ব্রাজিলের ওপর চড়া হারে শুল্ক চাপানোর পাশাপাশি ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু এরপরেও ট্রাম্পের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেনি ব্রাজিল। বরং ট্রাম্প চেপে ধরায় দেশবাসীর সমর্থন পেয়ে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।
২০২২ সালের ব্রাজিলের নির্বাচনে অক্টোবরে লুলার কাছে ভোটে হেরে যান বলসোনারো। এরপর তাঁর সমর্থকরা ব্রাজিলের সরকার ভবন, কংগ্রেস এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালায়। এই হামলার সঙ্গে ২০২০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারের পর ট্রাম্প সমর্থকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলার হুবহু মিল রয়েছে।