Taliban: লাথি, ঘুঁষি, থাপ্পড়, কাবুলের রাস্তা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে নির্মম অত্যাচার তালিবানের
মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং সরকারে তাঁদের অংশীদারিত্বের দাবিতে কাবুলের রাস্তায় সম্প্রতি প্রতিবাদ শুরু হয়। মহিলাদের বিক্ষোভ থামাতে টিয়ার গ্যাস চালায় তালিবান। এমনকী, প্রতিবাদ থামাতে না পেরে, শূ্ণ্যে গুলি চালাতেও দেখা যায় তালিবানকে।
কাবুল,১০ সেপ্টেম্বর: আফগানিস্তানে (Afghanistan) ক্ষমতা দখলের পর এবার কি নিজেদের পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে তালিবান? সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিককে (Journalist) নির্মমভাবে মারধরের ছবি প্রাকশ্যে আসে, তখন তালিবান (Taliban) শাসন নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
মহিলাদের (Afghan Woman) ক্ষমতায়ন এবং সরকারে তাঁদের অংশীদারিত্বের দাবিতে কাবুলের রাস্তায় সম্প্রতি প্রতিবাদ শুরু হয়। মহিলাদের বিক্ষোভ থামাতে টিয়ার গ্যাস চালায় তালিবান। এমনকী, প্রতিবাদ থামাতে না পেরে, শূ্ণ্যে গুলি চালাতেও দেখা যায় তালিবানকে। যে ছবি ক্যামেরায় ধরতে গিয়ে তালিবানের রোষের মুখে পড়েন এক চিত্র সাংবাদিক তাকি দারইয়াবি।
বিবিসির সাক্ষাৎকারে হাজির হয়ে ওই চিত্র সাংবাদিক জানান, কাবুলের রাস্তায় প্রতিবাদ চলাকালীন তিনি ছবি তুলছিলেন, ওই সময় এক তালিব যোদ্ধা তাঁকে লাথি মারতে শুরু করে। তাঁকে টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে দেওয়ালে মুখ ঠেঁসে দেওয়া হয়।
দারইয়াবি আরও জানান, কাবুলের (Kabul) রাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। হাত বেঁধে, এরপর লাঠি, পুলিশের লাঠি, রাবার দিয়ে মারধর করে একের পর এক তালিব যোদ্ধা। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তাঁকে ঘর থেকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। জ্ঞান ফিরলে কোনওক্রমে সেখান থেকে ফেরার জন্য দারইয়াবি হাঁটতে শুরু করেন বলে জানান।
তালিবান তাঁর ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল প্রথম থেকেই। তিনি দিতে চাননি বলে তাঁকে ধরে মারধর করা হয়। তবে মারধরের পর তাঁর শিরশ্ছেদ না করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি ভাগ্যবান বলেই তাঁর শিরশ্ছেদ না করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানায় এক তালিব যোদ্ধা।