Cambodia and Thailand Ceasefire: দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্য়া নিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে তুমুল যুদ্ধ চলছে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশের যুদ্ধের বহর দেখে গোটা বিশ্বের কপালে হাত উঠেছিল। লাটে ওঠে পর্যটন। থাইল্য়ান্ডের বোমারু বিমানের হামলায় কাম্বোডিয়ায় ভেঙে পড়ছে ইউনেস্কোর স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দির। অবশেষে তাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধ থামছে। দুই দেশ নি:শর্তে যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি হয়েছে। সরকারিভাবে মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি সাক্ষরিত হল। থাইল্যান্ডের কার্যনিবাহী প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াছাইয়ের ও কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর যুদ্ধ থামালেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিম। আজ, সোমবার রাত থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
কী কারণে এই যুদ্ধ
দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে ডানগ্রেক পর্বতমালার তিনটি প্রাচীন মন্দির-প্রিয়াহ ভিহিয়ার, তা মোয়ান থম, এবং আরেকটি মন্দির কাম্বোডিয়া না থাইল্যান্ড কোথায় অবস্থান করবে যুদ্ধ মূলত এই কারণেই শুরু হয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে চলে যায়।
থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
⚡️ Cambodia and Thailand agree to an immediate and unconditional ceasefire — takes effect from midnight tonight https://t.co/y4Hn3BYfMj pic.twitter.com/uI25cJUY7S
— RT (@RT_com) July 28, 2025
এই যুদ্ধের পিছনে দায়ি কে? থামালেন কি ট্রাম্প
আর পাঁচটা যুদ্ধের মতই দুই দেশ একে অপরকে সংঘর্ষের জন্য দায়ি করে, এবং আত্মরক্ষার জন্যই আক্রমণের কথা বলে। ডোমাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ভারত-পাকিস্তান মডেলেই এই যুদ্ধ থামাতে মরিয়া ছিল। তবে অপেক্ষাকৃত সামরিক থেকে অনেকটাই শক্তিশালী থাইল্যান্ড তাতে কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। কিন্তু এদিন সকালের পর থেকে আচমকাই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। যুদ্ধের কারণে থাই পর্যটনের ধাক্কাতে সেখানকার সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ ছিল। সব দিক বিচার করে কাম্বোডিয়ার প্রস্তাব মেনে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হল থাই সরকার। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এই যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্বও কি এবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেবেন?
এই যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক
২৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দুই দেশের যুদ্ধ ২০২৫ সালের অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে থাইল্যান্ডের ১৪ জন সাধারণ মানুষ এবং একজন সেনা জওয়ান আছেন। সেখানে কম্বোডিয়ায় ৭ জন সাধারণ মানুষ এবং ৫ জন সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছেন। কাম্বোডিয়া থেকে উড়ে আসা মিসাইলে থাইল্যান্ডে একটি হাসপাল, পেট্রোল স্টেশন এবং বড় বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।
দুই দেশের প্রায় দু লক্ষ মানুষ যুদ্ধের কারণে ঘরছাড়া হয়েছেন
কম্বোডিয়ায় ইউনেস্কোর স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। মূলত পর্যটনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা কাম্বোডিয়ার ক্ষতি বেশি হয়েছে। যুদ্ধের কারণে থাইল্যান্ডে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ায় ২০,০০০ বাসিন্দা সীমান্ত থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।