Toxic Fungus (Photo Credit: X)

দিল্লি, ৪ জুন:  চিন থেকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল টক্সিক ফাঙ্গাস (Toxic Fungus)। যে বিষাক্ত জৈব আমেরিকার (US) কৃষিকাজের চরম ক্ষতি করে দিতে পারত। ওই টক্সিক ফাঙ্গাস দিয়ে আমেরিকার কৃষিক্ষেত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া যেত। যা প্রকাশ্যে আসতেই গ্রেফতার করা হয় এক চিনা দম্পতিকে। পেশায় গবেষক ওই চিনা দম্পতি (Chinese couple) টক্সিক ফাঙ্গাস নিয়ে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যায়। সময় মত তাদের ধরতে না পারলে, তাদের অস্ত্রের মাধ্যমে আমেরিকার চাষবাসের নিরন্তর ক্ষতি সম্ভব হত বলে খবর।

আরও পড়ুন: COVID-19 Cases: বড় খবর; এশিয়া পেরিয়ে করোনার থাবা মার্কিন মুলুকে, চিনের নয়া প্রজাতির কামড়ে আমেরিকায় বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা

রিপোর্টে প্রকাশ, ইয়ানকিং জিয়ান (৩৩) এবং জুনইয়ং লিউ (৩৪) নামের  এই দুই চিনা (China) নাগরিক (সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী)  আমেরিকার উদ্দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে টক্সিক ফাঙ্গাস নিয়ে। তারা আমেরিকার মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে চলেও যায়। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে আমেরিকার জেলে রয়েছে ওই চিনা দম্পতি।

জানা যাচ্ছে, গম, যব, বার্লি, ভুট্টা এবং চালের উৎপাদনে ক্ষতি করতে পারত চিন  থেকে বয়ে নিয়ে যাওয়া ওই টক্সিক ফাঙ্গাস। অর্থাৎ প্রধান ফসলগুলির উৎপাদনে যাতে বাধা দেওয়া যায়, তার উদ্দেশ্যেই চিনের ওই দুই গবেষক টক্সিক ফাঙ্গাস নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি দেয়।

কৃষিক্ষেত্রে সন্ত্রাস ছড়ানোর অস্ত্র হিসেবে ওই টক্সিক ফাঙ্গাসকে ব্যবহার করা হত বলে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। ওই ফাঙ্গাস যদি ব্যবহার করা হত, তাহলে প্রত্যেক বছর কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারত আমেরিকার।

দেখুন কী উদ্ধার করা হয় চিনা দম্পতির কাছ থেকে...

 

সেই সঙ্গে ওই ফাঙ্গাসের ব্যবহারে উৎপাদিত ফসল খেলে মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ দেখা দিত। বমি, লিভার ড্যামেজের মত রোগ ধরা পড়তে পারত মানুষের শরীরে। কিন্তু তা হওয়ার আগেই ওই চিনা দম্পতিকে ধরে ফেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত চিনের বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে ফাঙ্গাস নিয়ে কাজ করত ইয়ানকিং জিয়ান এবং জুনইয়ং লিউ। এরপর চিন থেকে তারা সোজা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যায় কৃষিক্ষেত্রে  বিষ ছড়াতে।