শিম্পাঞ্জি (File Photo)

বেলজিয়াম, ২৪ আগস্ট: একটা কথা সত্যি যে মানুষকে পশুপ্রেমী হওয়া উচিত৷ তাই আজকের সমাজে পশুপ্রেমীর গুরুত্ব কিছুটা আলাদাই৷ তবে তাইবলে কোনও একটি প্রেমে পড়ে যাওয়া চমকে দেওয়ার মতোই ঘটনা৷ আর সেটাই ঘটেছে বেলজিয়াম (Belgium)৷ এক বেলজিয়ান মহিলার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সেখানকার অ্যানটুয়ার্প চিড়িয়াখানা৷ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ খেয়াল করতেই দেখেন একটি নির্দিষ্ট শিম্পাঞ্জির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কাটাচ্ছেন ওই মহিলা৷ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মহিলার দাবি, ওই শিম্পাঞ্জির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে৷ তাই বেশিরভাগ সময়টাই তার সঙ্গে কাটান তিনি৷ মহিলার নাম অ্যাডি টিমেরমান্স৷ তিনি প্রায় প্রতি সপ্তাহেই অ্যানটুয়ার্প চিড়িয়াখানায় আসা শুরু করেন৷ সেখানেই এক শিম্পাঞ্জির সঙ্গে তাঁর ভাব হয়ে যায়৷ যার পোশাকি নাম চিতা৷ আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ২৫ হাজারের গণ্ডীতে দৈনিক সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণে মৃতের পরিসংখ্যান

বছর ৩৮-এর চিতার সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করেন অ্যাডি৷ মাঝখানে কাচের দেওয়াল দুপাশে চিতা ও অ্যাডি৷ এভাবেই চলত বার্তালাপ৷ শুধু চুম্বন ছুঁড়ে দেওয়ার সময় পরস্পরের মুখ কাচের কাছাকাছি চলে আসত৷ প্রায় চারবছর ধরে চিতাকে দেখতে নিয়মিত চিড়িয়াখানায় আসতেন অ্যাডি৷ এরপরই এই বিশেষ বন্ধুত্ব রুখতে সচেষ্ট হয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ৷ এই প্রসঙ্গে অ্যাডি টিমেরমান্স বলেন, “আমি শুধু বলেছি, আমাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে৷ আমি চিতাকে ভালবাসি৷ সেও আমাকে ভালবাসে৷ আমি তো এর থেকে বেশি কিছুই পাইনি৷ তবে তারা কেন এটুকু কেড়ে নিতে চায়৷”

সে যাইহোক এই সম্পর্কের বিষয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, চিতার ক্ষতি হচ্ছে৷ কারণ অন্যান্য শিম্পাঞ্জিদের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক৷ শিম্পাঞ্জি চিতা বেশিরভাগ সময় ভিজিটরের সঙ্গে ব্যস্ত থাকায় বাকি হনুমানরা তাকে এড়িয়ে চলত৷ দূরত্ব বাড়তে বাড়তে এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে ভিজিটর আসার সময় শেষ হয়ে গেলে একাই থাকতে হয় চিতাকে৷ এই ঘটনায় অ্যাডি টিমেরমান্সের প্রশ্ন, সবাই যখন চিতার ডেরায় যেতে পারছেন তিনিই শুধু বাদ থাকবেন কেন? চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অন্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি৷