ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর চট্টগ্রামের বাসভবনে হামলা করে প্রতিবাদীরা। অন্যদিকে চট্টগ্রামের সাংসদ মহম্মদ মহিউদ্দিনের কার্যালয়ে আগুন ধরানোর অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, মাসখানেক ধরে জ্বলছে বাংলাদেশ। চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্র সংরক্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল দেশের যুবসমাজ। আর তাতেই রক্ত ছড়েছে অনেকের। অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের আহ্বান জানান। কিন্তু তাতে বসতে আগ্রহী নয় প্রতিবাদীরা। শনিবার থেকে ফের গনআন্দোলনে ডাক দেয় প্রতিবাদীরা। তবে এবার  আর কোটা প্রথা তোলাই প্রধান লক্ষ্য নয়, বরং প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে গর্জে উঠছে বাংলাদেশ। জানা যাচ্ছে, শনিবার বিকেল থেকেই ঢাকা, ঝিনাই, কুষ্ঠিয়া, জামালপুর ও কুমিল্লা সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ফলে এবার প্রতিবাদ যে আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে তা আন্দাজ করাই যাচ্ছে।

ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আর কোনও বৈঠকে বসতে চায় না তাঁরা। হাসিনা এবং তাঁর বিধায়কদের ইস্তফার দাবি করেছে আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে নিঝুম ইয়াসমিন নামে এক তরুণী বলেছেন, আমরা আর স্বৈরাচারী সরকার চাই না। এবার সরকারের বদল হওয়া উচিত। আর এই নিয়েই ইতিমধ্যে বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। শুক্রবার খুলনায় প্রতিবাদে বেরোয় ছাত্রছাত্রীরা। যেখানে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অন্যদিকে আজ কুমিল্লাতে পড়ুয়াদের মিছিলে চলে গুলি। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। তাঁদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

প্রসঙ্গত, গতমাসে চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য বিশেষ কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে অসংখ্য তরুণ-তরুণী। সেই প্রতিবাদ ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি ব়্যাব, সেনাবাহিনীদের রাস্তায় নামায় হাসিনার সরকার। আর এই প্রতিবাদ ঠেকাতে চলে গুলি। সবমিলিয়ে প্রায় ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে পড়ুয়াদের পাশাপাশি পুলিশও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।