কলকাতা, ৮ অক্টোবর: ইলিশ (Hilsa Fish) বাঁচাতে যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করে ফেলল বাংলাদেশ (Bangladesh)। যুদ্ধের জন্য নয়, মরশুমের ইলিশ মাছ বাঁচাতে 'রণংদেহী' মনোভাব নিল মহম্মদ ইউনুস সরকার। রিপোর্টে প্রকাশ, ইলিশের (Ilish Fish) মরশুম মাছ বাঁচাতে ১৭টি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে বাংলাদেশের তরফে। সেই সঙ্গে আকাশে ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন। যে কোনও প্রকারে ইলিশের মরশুমে মাছ বাঁচাতে বিচিত্র কর্মকাণ্ড শুরু করেছে ঢাকা।
এএফপির খবর অনুযায়ী, ইলিশ বাঁচাতে যে ১৭টি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ, তা ২৪ ঘণ্টা ধরে টহলদারি শুরু করেছে। বেআইনিভাবে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা যাতে কোনও মাছ ধরতে না পারেন, সেদিকে নজর রাখতেই মোতায়েন করা হয় বিপুল যুদ্ধ জাহাজ।
সেই সঙ্গে বিদেশি মৎস্যজীবীরাও যাতে ইলিশের মরশুমে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করতে না পারেন, তার জন্য়ও নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত কেউ ইলিশ মাছ ধরতে পারবেন না। সেই কারণে যুদ্ধ জাহাজের পাশাপাশি চলছে আকাশের ড্রোনের নজরদারিও। ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশ মাছের প্রজননের সময়। সেই কারণে কোনও মৎস্যজীবী যাতে জলে জাল ফেলতে না পারেন,তার জন্য করা হয়েছে কড়া পদক্ষেপ।
ইলিশ মাছ ধরা এবং বিক্রির উপর বহু মানুষের রুজি রুটি নির্ভর করে বাংলাদেশে। ইলিশ হল বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। সে দেশে এই মুহূর্তে প্রতি কেজি ইলিশ ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) ইলিশের চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। দিঘা থেকে ডায়মন্ড হারবার কিংবা বাংলাদেশি ইলিশ মানুষ ২ হাজার টাকার বেশি করে কেজি প্রতি কিনছেন।
ইলিশ মাছ এই সময় সমুদ্রের গরম জল থেকে নদীতে আসে। প্রজননের জন্যই লক্ষ লক্ষ ইলিশ এই সময় সমুদ্রের গরম জল থেকে নদীর ঠাণ্ডা জলের দিকে আসতে শুরু করে। ওই সময়ই জাল ফেলে ছোট ছোট ইলিশ ধরার চল রয়েছে। যা নিষিদ্ধ বলেই জানানো হয় প্রত্যেকবার। তা সত্ত্বেও ছোট ইলিশ থেকে প্রজননের জন্য আসা বড় ইলিশ, জাল ফেলে ধরা হয় সব ধরনের মাছই।