Lahore Blast (Photo Credit: X/Screengrab)

দিল্লি, ৮ মে: লাহোরের (Lahore) আকাশ ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। এমনকী বৃহস্পতিবার লাহোরে তীব্র কম্পন ধরানো সাইরেনও শোনা গিয়েছে। যার জেরে পাকিস্তানের (Pakistan) এই শহরে আতঙ্ক হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর মেলে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে। লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে গোপাল নগর এবং নাসিরাবাদে নাকি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। যার বেশ কিছু ভিডিয়ো (Lahore Video) এবং ছবিও উঠে আসে। যেখানে দেখা যায়, লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দরের নিকটবর্তী এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ কানে আসতেই মানুষ ঘর, বাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছেন। তাঁদের চোখ, মুখে আতঙ্ক স্পষ্ট।

শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাহোরের যে ভিডিয়ো ভাইরাল (Viral Video) হয় সেখানে দেখা যায়, ওই এলাকার আকাশ কালো  রঙের ধোঁয়ার মেঘে ঢেকে গিয়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষ যেমন জড়ো হতে শুরু করেন, তেমনি তাঁদের মধ্যে চূড়ান্ত আতঙ্কও দেখা যায়। লাহোরের ওই ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে, তা নিয়ে ছড়াতে শুরু করে জোর গুঞ্জন।

যে ভিডিয়ো ভাইরাল হতে শুরু করে লাহোরের, দেখুন সেই ঝলক...

 

লাহোরের যে বিলাসবহুল আর্মি ক্যান্টনমেন্ট এলাকা রয়েছে, তার পাশেই ওয়ালটন বিমানবন্দর। যে বিমানবন্দর লাগোয়া ওই গোপাল নগর এবং নাসিরাবাদ। ওই ঘটনার পরই খবর মেলে, পাকিস্তানের সিয়ালকোট, করাচি এবং লাহোর বিমানবন্দরে উড়ান সব বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানের ওই তিনটি বিমানবন্দরের  সমস্ত কাজকর্ম।

সূত্রের খবর, ৫-৬ ফুটের একটি ড্রোন লাহোরের ওই এলাকায় উড়তে শুরু করে। ওই ড্রোনটিকে যখন গুলি করে নামানো হয়, সেই সময়  বিকট বিস্ফোরণের শব্দে চারপাশ কেঁপে ওঠে। যার জেরে ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা এবং মানুষ আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন: 'Sunrise in Sialkot Pakistan': 'সিয়ালকোটে সূর্যোদয়', মাঝ রাতে পোস্ট অজিত দোভালের 'প্যারোডি অ্যাকাউন্টে', দেখুন কী হল

অপারেশন সিদূঁরে কম্পন পাকিস্তানে

৭ মে মাঝ রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে অপারেশন সিদূঁর (Operation Sindoor) সম্পন্ন করে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ভারতের বায়ুসেনার একের পর এক যুদ্ধ বিমান মুজফফরাবাদ, কোটলি, সিয়ালকোটের মত জায়গায় ঢুকে ধ্বংস করে দেয় জঙ্গিদের ৯টি শিবির। জইশ-ই-মহম্মদ থেকে লস্কর-ই-তইবা কিংবা হিজবুল মুজাহিদিন একের পর এক জঙ্গি আস্তানা তছনছ করে দেয় ভারত। পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি আস্তানা ছিন্নভিন্ন করলেও, ভারতীয় সেনার আঘাতে সে দেশের কোনও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়নি। সাধারণ মানুষকে আঘাত করা ছাড়াই পাকিস্তানের আশ্রিত সব জঙ্গি সংগঠনের আস্তানা, বাড়ি, ঘর ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়। যার জেরে কার্যত কম্পন শুরু হয় শেহবাজ় শরিফের দেশ জুড়ে।