
দিল্লি, ২ জুন: যে নদীর অববাহিকা দিয়ে রক্ত গড়াবে বলে হুমকি দেওয়া হয়, সেখান থেকে জলের প্রবাহ হতে পারে না। সন্ত্রাসবাদ (Terror ism) এবং চুক্তি (Indus Treaty Suspension) একসঙ্গে চলতে পারে না। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ব্যবসাও হতে পারে না। অপারেশন সিঁদূরের (Operation Sindoor) পর স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। ফলে ভারত (India) এবং পাকিস্তানের (Pakistan) মাঝে অস্ত্র বিরতি সম্পন্ন হলেও, সিন্ধু চুক্তির পুর্নবীকরণ দিল্লির তরফে করা হয়নি। ফলে শুকোচ্ছে সিন্ধুর (Indus River) অববাহিকা।
জলের অভাবে (Water Crisis) তীব্র গরমে (Extreme Heat) ভুগতে শুরু করেছে পাকিস্তান। সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করায়, সিন্ধু নদ, চেনাব এবং ঝিলমে (Jheelum) জলের অভাবে দেখা দিয়েছে। ফলে নদী অববাহিকা শুকিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। সিন্ধু নদীতে যে জল নেই, তার জেরে পাকিস্তানের জলের অভাব হু হু করে ( ) বেড়ে যাচ্ছে। জলের অভাব বর্তমানে ২১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলে খবর। হঠাৎ করেই এই নদীগুলিতে জল কমতে শুরু করেছে বলে জানানো হয় ইসলামাবাদের তরফে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে (Pahalgam Terror Attack) ভয়াবহ হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। যার জেরে প্রাণ যায় ২৬ জন নীরিহ পর্যটকের। পহেলগামে হামলার পরপরই সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করা হচ্ছে বলে ভারতের তরফে জানানো হয়।
পহেলগামে হামলার পর সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর অপারেশন সিঁদূর চলে। যার জেরে পাকিস্তানের টালমাটাল অবস্থা তৈরি হয়। অপারেশন সিঁদূরের জেরে ভারত, পাক সম্পর্ক যখন তলানিতে গিয়ে ঠেকে, সেই সময় অস্ত্র বিরতি সম্পন্ন হয়। তবে অস্ত্র বিরতি হলেও, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আগে সম্পর্ক ত্যাগ করুক। না হলে সিন্ধু চুক্তি স্থগিতই থাকবে বলে জানায় দিল্লি।