Quota Protests (Photo Credit: X)

কলকাতা: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশে রক্তক্ষয়ী রূপ নিয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনেও এতো শহীদ হয়নি। বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার রাত নয়টা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, মোবাইল ইন্টারনেট সহ সব ধরনের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে ৫৬ শতাংশ সরকারি চাকরি বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সহ সরকারী খাতের চাকরির কোটা নিয়ে মূলত ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা। ১০ শতাংশ মহিলাদের জন্য, ১০ শতাংশ অনুন্নত জেলার লোকদের জন্য, ৫ শতাংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত। জেনারেল ৪৪ শতাংশ উপলব্ধ।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের দাবি, 'কোটা' নয় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে। তাঁরা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানাচ্ছেন। আন্দোলনকারীরা শুধু প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ন্যূনতম কোটাকে সমর্থন করছেন। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সুবিধা দিলেও এসব কোটা ৫ শতাংশের বেশি রাখার প্রয়োজন হয় না বলে তাঁদের দাবি।