Representational Image (Photo Credit: X)

নির্জন এলাকায় রাতের অন্ধকারে প্রেমিকার ডাকে খুশি মনে বেরিয়েছিল যুবক। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর একটু কাছে আসা। তারপর আরও গভীরে যাওয়ার ইশারা দিল প্রেমিকা। তবে নতুন কোনও পদ্ধতিতে। একেবারে হলিউড ছবির ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে যেমন হাত পা বেধে চলে ভালোবাসার খেলা, সেই কায়দাতেই প্রেমিকের হাত বেধে দিল গাছে, বাধা হল চোখও। আর তারপরেই বদলে গেল সবকিছু। আচমকাই ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়ল যৌনাঙ্গে। যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠল যুবক। শনিবার এমনই ঘটনা ঘটল হাওড়ার ডোমজুড়ের (Domjur) পার্বতীপুরের শেখ পাড়া এলাকায়। যুবকের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় ঝটপট করছে আব্দুর রহমান নামে যুবকটি। অন্যদিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই যুবতী।

অভিযোগ, মধ্যরাতে হঠাৎই যুবককে ডেকেছিল তাঁর প্রেমিকা সুমাইয়া খাতুন। দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে। এদিন যুবতীর ডাকেই ফুরফুরে মেজাজে গিয়েছিল আব্দুর। তারপরেই ঘটে এই ঘটনা। আপাতত আশঙ্কাজনকভাবে যুবক ভর্তি রয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। অন্যদিকে সুমাইয়াকে গ্রামবাসীরাই আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। জেরায় জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক। এমনকী দুই পরিবারও এই কথা জানে, পাশাপাশি পরিবারের তরফ থেকে বিয়ের কথাও চলছিল।

তবে সম্প্রতি সুমাইরা জানতে পারে যে আব্দুর তাঁকে বিয়ে করতে চায় না। শুধুমাত্র যৌন সম্পর্ক রাখতে চায়। এরজন্য নাকি আগের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ছবি দেখিয়ে বেশ কয়েকবার ব্ল্যাকমেল করে যৌন সম্পর্কও করে আব্দুর। আর তখনই থেকেই প্রতিশোধের আগুনে ফুটছিল সুমাইরা। তারপরেই শনিবার প্রেমিককে ডেকে ঝোপ বুঝে কোপ মেরে দেন যুবতী।