কলকাতা, ৪ জানুয়ারি: ২০১৯-এর আগস্টে দিল্লি গিয়ে দলবদল করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপিতে যোগ দিলেও গেরুয়া শিবিরে তাঁদের অনুপস্থিতি বারবারই নজর কেড়েছে। এদিকে বিধানসভা ভোটের আগে আচমকাই বঙ্গবিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক পদের দায়িত্ব পেয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আহ্বায়ক হয়েছেন বৈশাখীদেবী। তাই দায়িত্ব বুঝে নিতে নতুন বেছে সপ্তাহের প্রথম দিন একেবারে সাড়ম্বরে দলের রাজ্য দপ্তরে যেতে চান দুজনে। সোমবার বেলা তিনটেয় আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে থেকে মুরলীধর সেন লেনে দলের প্রধান কার্যালয়ে ৭০০ গাড়ির ব়্যালি (BJP Rally) নিয়ে পৌঁছাবেন শোভন বৈশাখী। সঙ্গে থাকছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তবে আজকের বিজেপির ব়্যালিতে মেলেনি কলকাতা পুলিশের অনুমতি।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সপ্তাহের প্রথম দিনে এমনিতেই রাস্তাঘাটে নিত্যযাত্রীদের ভিড় থাকবে। এমতাবস্থায় বিকেল তিনটে নাগাদ যদি ৭০০ গাড়ির মিছিল বেরোয় তাহলে যে যানজট তৈরি হবে তা কাটাতে দীর্ঘসময় লেগে যাবে। সবমিলিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়বে আমজনতা। কিন্তু অনুমতি না পেলেও মিছিল বন্ধ করছে না বঙ্গবিজেপি। আদিন চিড়িয়াখানা থেকে বেরনো মিছিলের পথ যদি পুলিশ আটকায় তবে ব়্যালি কালীঘাটের দিকে ঘুরে যাবে। তারপর সেখান থেকে মুরলীধর সেন লেনের কার্যালয়ে পৌঁছাবে। মিছিলের অনুমতি মেলেনি, এই খবরেই অতিশয় বিরক্ত বিজেপি নেতা সায়ন্তন ঘোষ। তিনি বলেছেন, “লজ্জাজনক ও অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। বিজেপি মিছিল করলে কখনওই পুলিশ অনুমতি দেয় না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রচুর লোক নিয়ে মিছিল করেন, তখন সেই মিছিলের অনুমতি পুলিশ দেয়। প্রয়োজনে অনুমতি ছাড়াই কালকের মিছিল হবে।” আরও পড়ুন-Narendra Modi Spoke to Sourav Ganguly: সৌরভ এবং ডোনা গাঙ্গুলিকে ফোন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
এদিকে লালবাজার জানিয়েছে, এত গাড়ি ও বাইকের মিছিল হলে রাস্তায় যানজট অবধারিত। এদিকে মিছিলের সিদ্ধান্তে অনঢ় বিজেপি নেতৃত্ব রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে জরুরি বৈঠকে বসে। তবে এমনটাও শোনা গেছে যে ব্যক্তিগত কারণে এই মিছিলে যোগ দিচ্ছেন না বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।