কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে (Kasba Gang Rape Case) তিন অভিযুক্তের মধ্যে মনোজিৎ মিশ্রকে নিয়ে ক্রমশ রহস্য বাড়ছে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর বিরুদ্ধে নাকি আগেও একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে এই কীর্তিমান মনোজিৎ। আগেও নাকি যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী থানায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল এফআইআর। তারপরেও কোন অদৃশ্য জাদুবলে সে নিস্তার পেয়ে যেতেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এছাড়া কীভাবে সে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরি পেয়েছিল, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলছে রা্জ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

মনোজিতের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত মজুমদার

এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ঘটনা তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এখন জানা যাচ্ছে, মনোজিৎ আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। থানার তাঁর বিরুদ্ধে চারটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এমন একজনকে কারা কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরি দিয়েছেন? যাঁরা চাকরি দিয়েছেন, তাঁরাও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত। কলেজের গভর্নিং বডিতে যাঁরা রয়েছেন এবং যাঁদের সিদ্ধান্তে মনোজিতকে কলেজের অস্থায়ী কর্মী করা হয়েছিল, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নেওয়া উচিত”।

দেখুন সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

পুলিশি হেফাজতে কসবাকাণ্ডের চার অভিযুক্ত

প্রসঙ্গত, মনোজিৎ, প্রমিত ও জইব এই তিন অভিযুক্তকে আজ আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে তাঁদের পুলিশি হেফাজতের দাবি করা হয়। আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ধৃত নিরাপত্তারক্ষীরও হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে ৪ জুলাই করা হয়েছে।