
রাত দুটোর সময় বাঁকুড়ায় বিজেপির (BJP) জেলা কার্যালয়ে পুলিশের হানা। কার্যত তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলে উর্দিধারী পুলিশের একটি দল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা। এভাবে চুপিসারে পুলিশ কেন হানা দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন করা হলে তাঁদের মুখে কোনও জবাব নেই। রবিবার এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়েনি বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার রাতে এমনই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার নতুনগঞ্জ এলাকার বিজেপির কার্যালয়ে। কোনও আগাম নোটিশ বা সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া এভাবে কিসের জন্য হানা দিল পুলিশ, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন।
সমালোচনা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) বলেন, “রাজ্যের পুলিশ এখন দিনে দিনে তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়ে গিয়েছে। পুলিশের তাঁদের আসল কাজ করছে না। এখানকার পুলিশের কাজ সিন্ডিকেট চালানো, টেবিলে বসিয়ে সমস্যা ধামাচাপা দেওয়া এবং বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের মুখ বন্ধ করানো। বাঁকুড়ায় সেটাই হয়েছে। পুলিশ জোর করে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে পুলিশ ও প্রশাসন কেড়ে নেওয়া হলে উনি ক্ষমতা শূন্য হয়ে যাবে”।
দেখুন অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্য
রাজ্যের মন্ত্রী স্বামীর ওপর হামলার ঘটনায় তল্লাশি অভিযান
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে খাতড়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডি। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপির কিছু কর্মীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, সেই সন্দেভাজনদের খোঁজেই লোকচক্ষুর আড়ালে বিজেপির পার্টি অফিসে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিবাদে পিছপা হন তাঁরা। এমনকী ওই পার্টি অফিস ঘটনার সময়্ কেউ ছিলই না বলে দাবি বিজেপির।