Mamata Banerjee: পুরোনো হিংসাত্মক ঘটনা-দৃশ্য দেখাতে সংবাদমাধ্যমকে বারণ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (CAA) উত্তাপে ঝলসে উঠেছে সমগ্র দেশ (India)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে বিক্ষোভ। বাদ নেই শিক্ষাঙ্গনও। তাই এই অশান্ত পরিবেশ রুখতে আজ সোমবার দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে উপদেষ্টা কমিটি বহাল করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। উপদেষ্টায় বলা হয়েছে দেশজুড়ে জনজীবন এবং সাধারণ মানুষের সম্পত্তির সুরক্ষা দেবে সরকার। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্য সরকার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক হতে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনভাবেই যেন রাজ্যের টেলিভিশন চ্যানেলগুলি পুরনো ফুটেজ না দেখায়। কারণ তাতে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক করল রাজ্য সরকার (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (CAA) উত্তাপে ঝলসে উঠেছে সমগ্র দেশ (India)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে বিক্ষোভ। বাদ নেই শিক্ষাঙ্গনও। তাই এই অশান্ত পরিবেশ রুখতে আজ সোমবার দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে উপদেষ্টা কমিটি বহাল করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। উপদেষ্টায় বলা হয়েছে দেশজুড়ে জনজীবন এবং সাধারণ মানুষের সম্পত্তির সুরক্ষা দেবে সরকার। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্য সরকার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক হতে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনভাবেই যেন রাজ্যের টেলিভিশন চ্যানেলগুলি পুরনো ফুটেজ না দেখায়। কারণ তাতে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

রাজ্যের তথ্য- সংস্কৃতি দফতর থেকে এদিন ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়। সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রী তীব্র প্রতিবাদ করে আসছেন। বিলটি আইন হিসেবে মান্যতা পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদ তীব্রতর হয়। তিনি সব অনুষ্ঠানেই বক্তব্য পেশ করার সময় ক্যাব এবং এনআরসির বিরোধিতা করছেন। এনআরসি এবং নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন আইন রাজ্যে কিছুতেই চালু হবে না। এদিন আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত হাঁটেন তৃণমূলনেত্রী। সঙ্গে দলীয় নেতা মন্ত্রী-সমর্থকরা ছাড়াও কাতারে কাতারে মানুষ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা গণআন্দোলনের মিছিলে পা মেলান। ঠাকুর বাড়ির সামনের মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রী ফের কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। ঠাকুরবাড়িকে সাক্ষী রেখে বলেন, “একদিন বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য পথে নেমেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর বিজেপি কোথা থেকে এসে সেই বাংলার মানুষকে ভাগ করতে চাইছে। সবাইকে একসঙ্গে রাখবে না আবার বলছে সবকা সাথ সবকা বিকাশ। তাহলে সবার বিকাশ হবে কী করে? এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপি যদি বাংলার সরকার ফেলে দিতে চায় দিতে পারে। তবুও এনআরসি ও সিএবি বিরোধী আন্দোলন থেকে একপা-ও সরব না। এনআরসি করতে হলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। বিজেপির দালালদের আমি ক্ষমা করি না। কারোর ফাঁদে পা দেবেন না। এখানেই আমাদের কাউকে কাউকে রীতিমতো টাকাপয়সা দিয়ে কিনে নিয়ে আগুন জ্বালানোর কাজ করা হচ্ছে। ট্রেনে আগুন দেবেন না। সরকার এমনিতেই কত ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। যারা আপনাদের পাশে আছে তাঁদের কেন বিপদে ফেলছেন। শান্তিতে গণ আন্দোলনে যোগ দিন। হিংসাত্মক পথে কিছু করবেন না।” আরও পড়ুন: NPR Update: এনপিআর-এ স্থগিতাদেশ দিল রাজ্য সরকার

অন্যদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরোধিতায় (NRC) পথে নেমে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দেন, 'বাংলাকে দখল করার ওদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেব। রাষ্ট্রপতির কাছে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি চিঠি দিন। রক্ত দিয়ে চিঠি লিখুন। অধিকার বুঝে নিন তবে শান্তিপূর্ণ ভাবে। দেশ আমাদের সবার। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। শান্তিতে মিছিল মিটিং করুন। আইন হাতে তুলে নেবেন না। ওরা আগুন লাগিয়ে উসকে দিতে চাইছে কোনও ফাঁদে পা দেবেন না। গণআন্দোলনে অংশ নিন, নাগরিক অধিকার বুঝে নিন। বাংলায় কালা আইন মানছি না। এনআরসি ক্যাব (CAA) মানছি না।'

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now