Jagdeep Dhankhar On Mamata: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ভাই-বোনের মতো সম্পর্ক রয়েছে', বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
Governor Jagdeep Dhankhar (Photo: Twitter)

জয়পুর, ২৫ মার্চ: "একজন রাজ্যপাল (Governor) মেরুদণ্ডহীন হতে পারেন না। তাঁকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি সংবিধান রক্ষার শপথ নেন এবং যদিও তা করতে গিয়ে প্রায়শই লড়াই করতে হয়। আপনি যদি এমন রাজ্যের রাজ্যপাল হন, যেখানে সরকার কেন্দ্রের চেয়ে ভিন্ন দলের, আপনি সফট টার্গেট হয়ে যান, আপনি একটি পাঞ্চিং ব্যাগ হয়ে যান। আপনাকে দলের এজেন্ট বলা যায়। কিন্তু যিনি এই পদে আছেন তিনি এসব থেকে বিচ্যুত হবেন বা দুর্বলতা দেখাবেন, তিনি শপথ মানবেন না।" আজ রাজস্থান বিধানসভায় (Rajasthan Assembly) একটি সেমিনারে একথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, স্পিকার সিপি জোশী, বিরোধী দলনেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া এবং বিধায়করা সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন

'গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে রাজ্যপাল এবং বিধায়কদের ভূমিকা'-র উপর একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে রাজ্যপাল বক্তব্য রাখছিলেন। অনুষ্ঠানটি রাজস্থান বিধানসভায় কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ)-র দ্বারা আয়োজিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জানান যে তিনি একজন প্রো-অ্যাকটিভ গভর্নর নন। তবে একজন কপিবুক গভর্নর, যিনি আইনের শাসন এবং নিম্ন প্রোফাইলে কাজ করতে বিশ্বাস করেন এবং কারও নির্দেশে কখনই সংবিধানের মর্যাদা লঙ্ঘন করেন না। তিনি বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ করেছেন, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। যদিও তিনি জোরের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে সাংবিধানিক সীমার বাইরে কিছু করবেন না। আরও পড়ুন: Birbhum violence: 'পশ্চিমবঙ্গে জন্মানো কি অপরাধ?' রামপুরহাট 'গণহত্যা'য় সরব রূপা হু হু করে কাঁদলেন রাজ্যসভায়

তিনি বলেন, "গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীই সর্বোচ্চ, কারণ তাঁদের জনপ্রিয় ম্যান্ডেট আছে। কিন্তু আমি আমার জন্যও কিছু জায়গা চেয়েছি।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ভাই-বোনের মতো গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ধনখড়। বলেন, "অনেক সময় অবজ্ঞার কারণে ঝগড়া হয়। আমি শুধুমাত্র সংবিধানের আওতায় কাজ করতে পারি। মুখ্যমন্ত্রীর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে আমার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, এটা ভাই-বোনের সম্পর্কের মতো।"

যদিও একই সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যপাল বলেন, "আমি গভর্নর হিসাবে সরকারকে সমর্থন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তবে এটা কেবল একদিক থেকে হতে পারে না এবং এটিই আমি প্রত্যক্ষ করছি। একজন গভর্নর এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সংলাপ এবং আলোচনা আবশ্যক। সংবিধান রাজ্যপালের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কিছু দায়িত্ব নির্ধারণ করেছে এবং রাজ্যপালের সরকারের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে গত আড়াই বছরে অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রাজ্যপাল তথ্য পাচ্ছেন না। এমনকি রাজ্য অর্থ কমিশনের রিপোর্টও আমার কাছে পাঠানো হয়নি। আমি নিয়োগের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে চলি, অথচ আমার অনুমোদন ছাড়াই ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছিল।"