কলকাতা, ২০ নভেম্বর: আগামী উপনির্বাচনের (Bypoll) জন্য কোমর বেঁধে তৈরি রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। আগামী ২৫ নভেম্বর খড়্গপুর সদর (Kharagpur Sadar), কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) এবং করিমপুরে (Karimpur) উপনির্বাচন। আগে থেকেই ইশতেহার (Manifesto) প্রকাশ করে দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। খড়্গপুর সদর দিলীপ ঘোষের দুর্গ ছিল তাই বিজেপিকে একেবারে চাপে ফেলতে এই প্রথম উপনির্বাচনে ইশতেহার পত্র প্রকাশ করেছে তৃণমূল। মমতা ব্যানার্জির দল এই এলাকাগুলির স্থানীয় সমস্যাকেই পাখির চোখ করেছে, যেখানে বিজেপি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও NRC ইস্যুকে কেন্দ্র করে নিজেদের প্রচারপর্ব চালাবে।
এই উপনির্বাচনে কংগ্রেস-সিপিএম (Congress-BJP) জোট বেঁধে লড়বে। তাদের প্রচারে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা, আর্থিক সংকট এবং ক্রমশ বাড়তে থাকা দ্রব্যমূল্যকে হাতিয়ার করে প্রচার চালাচ্ছে। কালিয়াগঞ্জে বিজেপি ছাড়া অন্যান্য কোনও দলের অস্তিত্ব নেই বলে দাবি তুলে তৃণমূলকে কার্যত কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি দল। আরও পড়ুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায়দরাবাদিদের ভয় পাচ্ছেন, তাহলে বাংলায় বিজেপি কীকরে ১৮ আসন পেল, জানতে চাইলেন আসাদউদ্দিন ওয়েসি
ইশতেহারে রেলের বেসরকারিকরণের প্রস্তাবকে নিশানা করেছে তৃণমূল। রাজ্যসভার সদস্য মানস ভুঁইয়া উপনির্বাচন নিয়ে বলেছেন ,"মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হাত ধরে আমাদের রাজ্যের প্রচুর উন্নতি হয়েছে। তিনি একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছেন।" মনে করা হচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশেই উপনির্বাচনেও ইশতেহার প্রকাশ করা হয়।
তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের মতে, কেন্দ্র সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রস্তাব (NRC), জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ ও রাম মন্দিরের মত সিদ্ধান্তগুলি দেশকে অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা দিয়েছে, যার প্রভাব পড়বে এই উপনির্বাচনে। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু IANS-কে জানিয়েছেন, নাগরিক সংশোধনী বিল পাস নিয়ে যথেষ্ট তৎপর তারা। তবে রাজ্যে বেকার সমস্যা, দুর্নীতি, নৈরাজ্য, গণতন্ত্রের হত্যা সবকিছুকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। তা সত্ত্বেও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন কেন্দ্রে ভোট প্রচারে এসে বিজেপির জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।