বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Photo: Facebook)

বোলপুর, ১৭ জানুয়ারি: ক্যাম্পাসে সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে (Swapan Dasgupta) আটকে রাখা ও ১৫ জানুয়ারি ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। ১ মাসের মধ্যে কমিটিতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA)-এর বিরুদ্ধে সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও যখন প্রতিবাদ চলছে, তখন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে ওই আইনের সমর্থনে ব্যাখ্যা দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশ্বভারতীতে। ৮ জানুয়ারিতে তাঁর ওই কর্মসূচি ঘিরে দিনভর ছাত্র-বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়েছিল শান্তিনিকেতন। বক্তৃতার ঘোষিত স্থান বদলে অন্যত্র সভা হলেও ছাত্র-বিক্ষোভে রাত পর্যন্ত আটকে থাকেন বক্তা স্বপনবাবু, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ অনেকে।

অভিযোগ ওঠে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিজেপি সাংসদকে বিশ্বভারতীতে বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভবনের দুটি গেটই আটকে উপাচার্য ও সাংসদের উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান চলতে থাকে। ভিতর থেকেই ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেন সাংসদ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ভিতরে জেলার একাধিক বিজেপি নেতা থাকায় বাইরে থেকে তাঁদের দলের সমর্থকেরা এসে পড়ুয়াদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন। পরে স্বপনবাবু বন্ধ গেটের ভিতর থেকেই বলেন, ‘‘উপাচার্যের আমন্ত্রণে আমি বক্তৃতা দিতে এসেছিলাম। এটা কোনও দলের অনুষ্ঠান নয়। যাঁরা সিএএ-র বিরোধী, তাঁরা সভায় এসে তাঁদের কথা বলতে পারতেন। তা না করে যাঁরা এমন করলেন, তাঁরা গণতান্ত্রিক চর্চা চান না।’’ আরও পড়ুন: Attack On Visva Bharati Students: জেএনইউ-র ছায়া বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে, হোস্টেলের বাইরে ছাত্রদের রড-লাঠি দিয়ে মার বিজেপির

এই ঘটনার কয়েকদিন পর ১৫ জানুয়ারি রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পাসে ঢুকে ফের পড়ুয়াদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ABVP-র বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছেলেদের হস্টেলে ঢুকে বেধড়ক মারধর করেছে গেরুয়া শিবিরের সংগঠন। হামলায় আহত হন স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় ও ফাল্গুনী পান নামে দুই ছাত্র। রাতেই তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফেসবুক পোস্টে হাসপাতালে ভর্তি স্বপ্ননীলের অভিযোগ, বুধবারই প্রথমে 'বচসা ও ধস্তাধস্তি' হয়েছিল। পরে সন্ধ্যায় রাস্তায় একা পেয়ে 'হামলা' চালানো হয়। উইকেট, কাঠের তক্তা দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে ভিডিয়োয় জানিয়েছে ওই পড়ুয়া। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই ABVP সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।