আগরতলা, ৮ অক্টোবর: ত্রিপুরায় (Tripura) পার্টি অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এবং বিজেপির (BJP) মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বুধবার ত্রিপুরায় যান তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) থেকে সায়নী ঘোষরা ত্রিপুরায় গেলে, তাঁদের আটকানো হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল ধর্নায় বসেন। এমনকী তাঁদের নিতে যাওয়া গাড়িগুলিকেও আটকে দেওয়া হয়, চালকদের ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেন সায়নী ঘোষরা (Saayoni Ghosh)।
ত্রিপুরা শহরে প্রবেশের পর বিষয়টি নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সরব হন কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন...
ত্রিপুরা। সংক্ষেপে।
1) আগরতলা বিমানবন্দরে আটকে। কারণ আমাদের নিতে আসা গাড়িগুলি ওদের হুমকিতে উধাও। সবেতে বাধা। গাড়ি, অটো, এমনকি প্রিপেইড ট্যাক্সিতেও বাধা।
2) বিরাট পুলিশবাহিনী। আমরা বিমানবন্দরেই ধরণায়।
3) আমাদের আরও গাড়ি আসছিল। সবেতে বাধা।
4) আমরা বলি হেঁটে যাব। আমরা হাঁটতে… pic.twitter.com/UGNCxyNQrM
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) October 8, 2025
প্রসঙ্গত উত্তরবঙ্গে বন্যা কবলিত জায়গাগুলি ঘুরে দেখতে গেলে, সেখানে প্রহৃত হন বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু। বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষেরও চোট লাগে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়। আহত খগেন মুর্মুকে দেখতে মঙ্গলবার হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী যখন উত্তরবঙ্গে সেই সময় ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। যা নিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে যেমন চাপানউতোর শুরু হয়, তেমনি বুধবার পড়শি রাজ্যে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। আর সেখানে গিয়েই ভাঙা পার্টি অফিসের কাছে যেতে প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যদের আটকানো হয়। যা নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। বেশ কিছুক্ষণ প্রতিবাদ, ধর্নার পর গন্তব্য়স্থলের দিকে রওনা দেন কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষরা।