কসবায় ল’ কলেজে গণধর্ষণের (Kasba Rape Case) ঘটনা নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত শহর কলকাতা। ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আবার একজন তৃণমূলের ছাত্রনেতা। ফলে ঘটনাটি নিয়ে শাসকদলকে বিঁধতে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধীরা। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে কসবা থানা ঘেরাও করেছে বিজেপি, কংগ্রেস। কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অসংখ্য পড়ুয়া। আরজি কর ঘটনার পর আবারও শহর কলকাতায় ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে শহর কলকাতার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। যদিও এই গণধর্ষণ নিয়ে বিরোধীতা করেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতানেত্রীরাও।
ঘটনার প্রতিবাদ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “ল কলেজে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটার চরম বিরোধীতা করছি। এই ঘটনা একদমই কাম্য নয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় যুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বন্ধুরাই যদি তাঁদের বান্ধবীর সাথে এমন করে, সেখানে আর কী করা যেতে পারে। যাঁদের বিশ্বাস করত, যাঁরা নিরাপত্তা দিতে পারত, তাঁরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ তো কলেজের ভেতরে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য থাকতে পারে না। এটা কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। প্রয়োজনে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত”।
দেখুন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য
কসবায় ধর্ষণের ঘটনা
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন সন্ধ্যের দিকে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের একটি রুমের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। ওই কলেজেরই এক ছাত্রীকে ডেকে ধর্ষণ করে কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র তথা কর্মী সহ দুই বর্তমান ছাত্র। জানা যাচ্ছে, এরা সকলেই সকলের পরিচিত ছিল। তারপরেও কেন এই ঘটনা ঘটল সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন আবার কলেজেরই ছাত্রনেতার। ওইদিন রাতেই কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তারপরেই বৃহস্পতিবারের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে।