পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: ANI)

কলকাতা, ৫ জুলাই: জীবনের অন্যতম বড় রাজনৈতিক যুদ্ধে বড় জয় পেয়েছেন। অনেক চেষ্টা করে বাংলা থেকে দিদিকে সিংহাসনচ্যুত করতে গিয়ে বিজেপিই রাজ্যে বিপদে পড়েছে। নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-অমিত শাহ (Amit Shah)-কে সম্ভবত তাঁদের রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা বাংলার ভোটেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন মোদী-শাহ-নাড্ডা-যোগীদের নিয়ম করে ছুটে আসা দেখেই তৃণমূল ঠিক করেছিল, বাংলায় জিতলেই এবার দেশ দখলের লড়াইয়ে জোরদার চেষ্টায় নামা হবে। দিদি সেই কাজটাই শুরু দিচ্ছেন লোকসভায়। আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok Sabha Election) ভাল কিছু করতে হলে লড়াইটা দিল্লিতেও মজবুত দিতে হবে তা অতীত থেকে শিখেছেন দিদি। আর তাই লোকসভায়. বড় বদল আনতে চলেছে তৃণমূল। রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমনই জল্পনা তুঙ্গে। ভারসাম্য রাজনীতিতে সংসদে "এক ব্যক্তি এক পদ"নীতি চালু করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লোকসভা ও রাজ্যসভায় শীঘ্রই এই নীতি চালু করা হবে। উত্তর কলকাতার সাংসদ তথা দলের বর্ষীয়ান নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন লোকসভায় তৃণণূলের দলনেতা আছেন। পাশাপাশি তিনি খাদ্য-গণবণ্টন, ও উপভোক্ত বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পদেও আছেন। খুব সম্ভবত এই দুটির মধ্যে একটি পদ ছাড়তে হতে পারে সুদীপকে। বিধানসভা ভোটের সময় দলের ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা সৌগত রায়কে লোকসভায় আরও দায়িত্ব ও গুরুত্ব দিতে চান দিদি। সৌগত রায় যাতে লোকসভায় সামনের সারিতে বসেন তা নিশ্চিত করতেও নাকি উদ্যোগি হতে বলেছেন মমতা। দলের আরেক সাংসাদ (রাজ্যসভা) সুখেন্দুশেখ রায়েরও গুরুত্ব বাড়তে চলেছে। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মিত্র-র ভূমিকাতেও দারুণ খুশি দল। মহুয়ার গুরুত্বও বাড়তে চলেছে। আগামী ১৯ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা বর্ষাকালীন অধিবেশনে সরকারকে চাপে রাখতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদরা। বাংলায় দারুণ জয়ের লোকসভায় মোদী-শাহদের সবচেয়ে চাপে রাখতেন পারেন তৃণমূলে সাংসদরাই।

লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যের কিছু জেলায় সভাপতি বদলের জল্পনাও চলছে তৃণমূলে। বিধানসভায় যেসব জেলায় প্রত্যাশিত ফল হয়নি সে সব জেলায় সভাপতি হিসেবে তরুণ মুখ আনা হতে পারে।