মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Picture Credits: ANI)

কলকাতা, ২১ জুলাই: গত বছর এই দিনটা তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা কাটিয়েছিলেন উৎকণ্ঠায়। ২০১৯ লোকসভায় বিজেপি-র মহাউত্থানের পর একুশের ভোট নিয়ে তৃণমূল সমর্থকরা চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদদী-অমিত শাহদের শত চেষ্টা করে ঐতিহাসিক জয় এসেছে। একুশের একুশে দাঁড়িয়ে তাই শুধু উচ্ছ্বাস। তবে এবার আর বাংলা নিজের মেয়েকেই চাই নয়, এবার দেশ নিজের মেয়েক চাই স্লোগান নিয়ে ঝাঁপানোর শপথ। যে মোদী ক মাস আগে বাংলায় এসে মমতাকে তীব্র অপমান করে গিয়েছেন, এবার ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা এমন কথাই বলছেন।

২৪-র লক্ষ্যে মোদী-শাহ-আদিত্যনাথের গড়ে একুশে জুলাই পালন করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। আজ, বুধবার দুপুর দুটোয় ভাষণ দেবেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। ফেসবুক সহ দলের সবকটি সোশ্যাল মাধ্যম, যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার থেকে সরাসরি মমতার ভাষণ প্রচারিত হবে। পাশাপাশি দলের বিধায়ক, সাংসদদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকেও সরাসরি দেখা যাবে একুশের অনুষ্ঠান ।

এবারই প্রথম বাংলার বাইরে বড় করে পালন করা হবে তৃণমূলের শহিদ দিবস। দিল্লির ঐতিহাসিক কনস্টিটিউশন হলের জায়েন্ট স্ক্রিনে দিদির বক্তব্য দেখানো হবে। দিল্লির পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে গুজরাতেও দিদিকে বড় পর্দায় দেখা যাবে। আগামী যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে সেখানেও পালরিত হবে দিদির একুশে জুলাই। পড়শির দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা, অসম,-এও দেখানো হবে শহিদ দিবসে দিদির বক্তব্য। পঞ্জাব, তামিলনাড়ুতেও একুশের ভার্চুয়াল সভা হতে চলেছে। এবারের ২১ জুলাই একেবারেই ব্যতিক্রমী হচ্ছে বেশ কিছু কারণে। এবার আর বাংলার মানুষকে বোঝানোর দরকার নেই কেন দিদিকে চায়। দিদিকে চাওয়া বাংলা জিতে তৃণমূলের লক্ষ্য এবার দেশজয়ের।