Suvendu Aadhikari. (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ২২ মার্চ:  রামপুরহাটে (Rampurhat)  তৃণমূল (TMC Leader Murder) উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পর থেকে গোটা রাজ্যে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল নেতা খুনের পর রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ৭-৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে ১০ জনের (ডিজির মতো ৮) মৃত্যু হলে, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। সোমবার রাতের ওই ঘটনার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, রাজ্যে আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। গত এক সপ্তাহে গোটা রাজ্য জুড়ে ২৬ জন খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। ফলে এবার কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করুক বলে দাবি করেন শুভেন্দু। রাষ্ট্রপতি শাসনের পাশাপাশি ৩৫৫ধারা জারি করলে, তবেই রাজ্যে ফের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendhu Adhikari)।

সোমবার তৃণমূলের উপপ্রধাব ভাদু শেখ স্থানীয় চায়ের দোকানে বসেছিলেন। ওই সময় ভাদু শেখকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাদু শেখকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার পর গোটা এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: TMC Leader Murder: রামপুরহাটে 'ভয়াবহ হিংসা', রাজ্যপালের ট্যুইটকে 'বিজেপি নেতার মত আচরণ' বলে কটাক্ষ কুণালের

ওই ঘটনার পর সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি (রামপুরহাট) মনোজ মালব্য । তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা খুনের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রামপুরহাটের ৭-৮টি বাড়িতে অগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সোমবারের ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে জানান ডিজি। পাশাপাশি মনোজ মালব্য আরও বলেন, রামপুরহাটের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যুর খবর মেলে কিন্তু ৮ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রামপুরহাটের ঘটনায় সিট গঠন করা হয়েছে বলেও জানান মনোজ মালব্য (Manoj Malviya)।