প্রতীকি ছবি (Photo Credits: PTI)

প্রথমে এই ঘটনাটি সাধারণ দুর্ঘটনা বলে মনে হলেও পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে জানতে পারে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কের নিচে মজুত করে রাখা হত চোলাইয়ের সরঞ্জাম। তবে এদিন সরঞ্জাম তুলতে গিয়েই ঘটে দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আর তারপরেই চোলাই মদের কারবারি রুখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে বছর ১৬-এর এক কিশোর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে চোলাইয়ের উপকরণ বের করতে গিয়েছিল। সেই সময় সে পা হড়কে পড়ে যায়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি এগিয়ে আসে। কিন্তু সেও ব্যালেন্স সামলাতে না পেড়ে পড়ে যায়। এবার এই দুজনকে বাঁচাতে গিয়ে আরও এক ব্যক্তি পড়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ ডাকা হলে উদ্ধার করার আগে সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসে তাঁদের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে এরা সকলেই এই মদ ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত।

ইতিমধ্যে যার বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার মালিক রবি মুর্মূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই ওই ট্যাঙ্ক থেকে সরঞ্জাম তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এদিন পা হড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সকলেই গ্রামের বাসিন্দা। মৃতদের নাম সুজন সোরেন (১৬), বাপি বাসকে (৪৫) এবং বদ্রীনাথ হেমব্রম (৫৮)। পুলিশ জানিয়েছে আবগারী দফতরের থেকে বাঁচতেই মদের সরঞ্জাম সেপটিক ট্যাঙ্কের নিচে রাখত ব্যবসায়ীরা এবং সকলের নজরের আড়ালে এর ব্যবসা চলতো।