আর্থিক অনটনের জন্য আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলেন একই পরিবারের তিন সদস্য। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালে নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) এলাকার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের খবর, পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সদস্য এসে প্রথম ঘটনাটি প্রথম দেখে। আর তাই দেখে পড়শিদের ডেকে দুই মহিলা ও এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে দুজন। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইট নোটও উদ্ধার হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, লস্করপুর এলাকায় দীর্ঘদিনের বাসিন্দা দীপক রায় (৬৩), স্ত্রী জলি রায় (৫৫) ও তাঁর মেয়ে দিশারী রায় (২৩)। দীপক রায় হাবড়ার বাসিন্দা হলেও ঘরজামাইয়ের জন্য নরেন্দ্রপুরেই থাকতেন। পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ হলেও সম্প্রতি তাঁর চাকরি যায়। তারপর বাড়ির সামনে একটি মুদির দোকান খুললেও সেটা বেশিদিন চলেনি। তারপর থেকেই আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন দীপক ও তাঁর পরিবার। এমনকী এই সমস্যার জন্য মেয়ে দিশারীর পড়াশুনো বন্ধ হয়ে যায়।
গত বুধবার জলি রায় তাঁর বোন ডলি দাসকে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলার জন্য বৃহস্পতিবার আসতে বলে। সেই মতো এদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়িতে যায় ডলি দাস। বেশ কিছুক্ষণ দরজা ধাক্কাধাক্কির পর চিন্তায় পড়ে ডলি রায়। তবে সেই সময় দরজা খোলে দিশারি। তখন দেখা যায় মেয়ের হাত থেকে রক্ত ঝড়ছে। ওই অবস্থায় সে জানায় পরিবারের সকলেই ঘুমের ওষুধ ও হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তারপরেই তড়িঘড়ি তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জলি রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।