টালা ব্রিজ (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ১৪ অক্টোবর: আজ থেকে টালা ব্রিজে (Tala Bridge) বন্ধ করা হয়েছে ৯টি রুটের ৩০০টি বাস (Bus)। যার ফলে, চরম হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা (Daily Passenger)। সপ্তাহের প্রথম দিনেই এমন পরিস্থিতি যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। বন্ধ থাকছে ৭৮ (ব্যারাকপুর - ধর্মতলা), ২১৪ (সাজিরহাট - বাবুঘাট) ২০১ (নিমতা- এসডিএফএস) ১৮৫ (নিমতা- হাওড়া), ৩৪বি (ডানলপ- ধর্মতলা) ২২২ (বনহুগলী- বেহালা চৌরাস্তা) ৩৪ সি( নোয়াপাড়া- ধর্মতলা) ২০২ (নাগেরবাজার- সাইন্সসিটি) ৩২এ (দক্ষিণেশ্বর- সেক্টর ফাইভ)।

ফের নাজেহাল কলকাতাবাসী। টালা ব্রিজ বিপর্যয়ের জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনেই বন্ধ উত্তর কলকাতা ও শহরতলীর মোট ৯টি রুটের বাস। আপাতত দিনভর ওই রুটে (Rute) চলবে না ৩০০ টিরও বেশি বাস। যার ফলে, নাজেহাল অবস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে শহরবাসীকে। এতদিন ধাপে ধাপে বাস বন্ধ রাখলেও সোমবার সমস্ত বাস বন্ধ রেখেছেন বাস মালিকরা (Bus Owner)। তাঁরা জানাচ্ছেন, টালা ব্রিজ বন্ধের কারণে ওই বাসগুলিকে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। আর তাতেই বাড়ছিল জ্বালানির খরচ (Fuel Cost)। এই মুহূর্তে ভাড়া বাড়ানো সম্ভব না হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে কার্যত অচল শ্যামবাজার (Shyambazar) থেকে ডানলপের (Dunlop) গোটা রাস্তা। এই বিপত্তির কথা স্বীকার করেছেন ডিসি ট্রাফিক সন্তোষ পান্ডে(Santosh Pandey)। সাম্প্রতিক অবস্থায় উদ্বিগ্ন লালবাজারের (Lalbazar) শীর্ষ কর্তারাও। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। আরও পড়ুন: Kolkata: মঙ্গলবার থেকে 'গান্ধী সংকল্প যাত্রা' শুরু করবে রাজ্য বিজেপি, জানালেন দিলীপ ঘোষ

সূত্রের খবর, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পরশু অর্থাৎ আগামী বুধবার মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসবে পরিবহণ দফতর। অন্যদিকে, টালা ব্রিজের জটে সপ্তাহের শুরুতেই দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। চিড়িয়ামোড় (Chidia More) থেকে সিঁথির মোড় (Sinthir More), গাড়ির জন্য অপেক্ষায় করছেন বহু মানুষ। লম্বা লাইন ডানলপ ব্রিজের নীচে। একই অবস্থা পাইকপাড়ার মুখেও। অটোর অস্থায়ী রুট চালু হলেও পর্যাপ্ত অটো না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ। ফলে দীর্ঘ সময় যেমন অপচয় হয়েছে তেমনই তিন থেকে চারগুন বেশি খরচ সত্ত্বেও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে কার্যত কালঘাম ছুটছে নিত্যযাত্রীদের। আজ সকালে শহর কলকাতার ছবিটা ছিল এমনই।

(২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী)