পদ খুঁইয়ে দলের বিরুদ্ধে হাঁড়ি ফাঁটালেন পাঁশকুড়ার তৃণমূলের প্রাক্তন টাউন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রের স্ত্রী সুমনা মহাপাত্র। বিরোধী দলের নেতাদের কোন ভাষায় আক্রমণ করা হবে, সেটা ঠিক করে দিত দল। তবে তিনি সেই ভাষায় আক্রমণ করতে পারতেন না বলে তাঁকে কোনঠাসা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সুমনা। পুজোর আবহে তৃণমূল নেত্রীর এহেন অভিযোগে কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির। অন্যদিকে সুমনার এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে পাল্টা সরব হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

সুমনা মহাপাত্রের পাশে শুভেন্দু অধিকারী

শুভেন্দু বলেন, “সৌমেন মহাপাত্র ও তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে ওঁরা খুবই শিক্ষিত পরিবার। ওঁদের মধ্যে শিক্ষা, দিক্ষা, নম্রতা, ভদ্রতা আছে। আর তৃণমূল যে নোংরা রাজনীতি চাইছে, সেটা ওঁরা সমর্থন করে না। আসলে এসব কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইপ্যাকের নির্দেশে করতে হয়। মন থেকে কেউ বলতে চায় না। যাঁরাই নোংরা মন্তব্য করে তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ আমায় হোয়াটসঅ্যাপ করে ক্ষমা চান”।

দেখুন শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য

তৃণমূলে বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সুমনা মহাপাত্র

প্রসঙ্গত, পদ হারিয়ে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সুমনা মহাপাত্র। কার্যত সাংবাদিক বৈঠক করে দলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি নিয়ে অভোযেগ করেন তিনি। সুমনা মহাপাত্র বলেন, “আমি বাজে কথা বলতে পারিনি, তোলাবাজি করতে পারিনি। মানুষের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করতে পারিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে যখন বলার তখন বলেছি। তাঁর মানে অভদ্র কথা বলব, এমন পরিবার থেকে আমরা উঠে আসিনি। আমরা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নোংরা কথা বলতে পারিনি, তাই দলের মধ্যে আমাদের কোনঠাসা করা হচ্ছে”।