Subhankar Sarkar . (Photo Credits: X)

কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর: অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)-র অপসারণের পর বঙ্গ কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হল শুভঙ্কর সরকার (Subhankar Sarkar)-কে। দেশ ও রাজ্যে রাজনীতির অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লড়াকু, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির শুভঙ্করের ওপর বাংলার হাতের দায়িত্ব তুলে দিলেন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী-রা। আর বঙ্গ কংগ্রেসের দায়িত্ব পেয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে দীর্ঘ পোস্ট করলেন শুভঙ্কর সরকার। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুভঙ্কর এক্স পোস্টে লিখলেন, " মেদিনীপুরের এক ছোট্ট গ্রামে জন্মেছি ও বড় হয়েছি। আমি স্বাধীনতা সংগ্রামী পরিবারের সদস্য়। আমার ঠাকুরদা প্রয়াত নগেন্দ্র নাথ সরকার, বাবা দেবব্রত সরকার ও মা প্রভাবতী সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান করেছিলেন। ছাত্রবস্থা থেকেই আমি রাজনীতি করেছি। বুথ এজেন্ট থেকে রাজনীতি কেরিয়ার শুরু করে আমি ছাত্র, রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতি অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। পশ্চিমবঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে আমার নিয়োগ মনে করিয়ে দেয় কংগ্রেস পার্টি গণতান্ত্রিক সংগঠন হিসেবে মানুষের দ্বারা পরিচালিত হয়। আমার এই নিয়োগ কোনও ব্যক্তির নয়, আমাদের রাজ্যের সব কংগ্রেস কর্মীই এই দায়িত্ব পেল, কারণ আমরা সবাই এক হয়ে এবং একই লক্ষ্যে কাজ করি। পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মানুষ, পার্টি কর্মীদের থেকে প্রতিক্রিয়া, আভ্যন্তরিন আলোচনা ও পারস্পরিক ঐক্যমতের ভিত্তিতেই।"

বাংলায় কংগ্রেসকে মজবুত করার লক্ষ্যে তিনি যে কোনওরকমের পরিশ্রম, ঘাম, রক্ত ঝরাতে তৈরি আছেন বলে রাজ্যে কংগ্রেসের নতুন সভাপতি জানিয়েছেন। বাংলায় ফ্যাসিস্ট শক্তির, দুর্নীতি, বেকারত্ব, অনুন্নয়ন, নারী নিরাপত্তার অভাব, কৃষকদের সমস্যা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গাফলতির মত ইস্যু নিয়ে তিনি ও তার দল তীব্র লড়াই তালাবে বলে শুভঙ্কর সরকার জানিয়েছেন। এরপর তিনি টুইটে লেখেন, "আরজি কর কাণ্ডে নাগরিক আন্দোলন প্রমাণ করেছে বাংলার মানুষের শক্তি ঠিক কতটা। আমরা চেষ্টা করব বর্তমানে চলা মেরুকরণ ও সংখ্যার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে মানুষদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন, প্রতিরোধ, প্রতিবাদ গড়ে তোলার। আমাদের আন্দোলনে সবাই স্বাগত।"আরও পড়ুন-ত্রাণ নিয়ে ঘাটালে ফের দেব, এই বন্যা 'মাস্টারপ্ল্যান'এ রোখা যেন না, বললেন সাংসদ

দেখুন টুইটে কী লিখলেন শুভঙ্কর সরকার

দীর্ঘ এক্স পোস্ট বা টুইটের শেষে শুভঙ্কর সরকার তাঁর পূর্বসূরীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেছেন, " সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, আবু গণি খান চৌধুরী, সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরীদের মত কিংবদন্তী নেতা এবং প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।"