Jail - Representational Image (File Photo)

এক মা নিজের মেয়েকে হারিয়েছে, অপরদিকে আরেক মা ছেলের কৃতকর্মকে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। ছেলেকে থানায় নিজের কুকীর্তি নিয়ে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নয়। বরং উদ্ধত্যের সঙ্গে সে বলেন, 'ফাঁসি দিলে দেবেন'। কিন্তু মায়ের মন এখনও অভিযোগগুলি বিশ্বাস করতে পারছে না। মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের ছেলে শহরের অন্যতম ব্যস্ত হাসপাতালে ঢুকে এমন নিন্দনীয় ঘটনা ঘটাবে তা যেন বিশ্বাস করতে পারছে না স্থানীয় বাসিন্দারাও। কিন্তু শনিবার পুলিশি জেরায় আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital) কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছে সে। গোটা ঘটনা শুনে কার্যত হতবম্ব হয়ে গিয়েছে অভিযুক্তের মা।

এদিন তিনি বলেন, কেউ বলছে ছেলে ধর্ষণ করেছে, কেউ বলছে খুন করেছে. আবার কেউ বলছে টাকার জন্য এসব করেছে। আমি কিছু বলতে পারবো না এই নিয়ে। উপরওয়ালা সব দেখছে। আমি তো মা, বলতে পারবো না ও কি করেছে। মা আমি, জন্ম দিয়েছি ওঁকে। রক্ত বদলাতে পারে না। স্ত্রীয়ের জন্য রক্ত বিক্রি করেছে। আমি এই নিয়ে কিছু বলতে পারবো না। বক্তব্যে মাঝে গলা কেঁপে আসছিল অভিযুক্তর মায়ের।

ঘটনার তদন্ত শুরুতে সিসিটিভি ফুটেজে ওই কনফারেন্স রুমের আশেপাশে দেখা গিয়েছিল অভিযুক্ত যুবককে। পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার হওয়ার কারণে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁকে আটকায়নি। এমনকী ঘটনাস্থলে যে হেডফোনের অংশ উদ্ধার হয়ছিল সেই কলার হেডফোনটি সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তের গলাতেও দেখা গিয়েছিল। যার ফলে তদন্তের কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে জেরার সময় অফিসারদের বিশেষ সময় নষ্ট করেনি অভিযুক্ত। বরং অতি সহজেই নাকি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।