২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল ব়্যালিতে তৃণমূলের তুরুপের তাস, ‘সোজা বাংলায় বলছি’
Photo Source: ANI Twitter

কলকাতা, ৩০ জুন: প্রথমে “দিদিকে বলো”, তারপর “বাংলার গর্ব মমতা”, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল শিবিরের এই দুই সাড়া জাগানো ক্যামপেন আজ সবার কাছেই পরিচিত। তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদল নতুন এক স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচারের আলো সাজাতে চলেছে। এটি হল- “সোজা বাংলায় বলছি” (Soja Banglay Bolchhi)। আগামী ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিনই এই ক্যামপেন লঞ্চ হতে চলেছে। মূলত কিছুদিন আগেই দেশজুড়ে ভার্চুয়াল ব়্যালি করেছে বিরোধী বিজেপি। সেই ব়্যালি দেখেই অনুপ্রাণীত হয়ে ২১ জুলাই এমন কিছুর পরিকল্পনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় নেতারা মনে করছেন আগামী ৩ জুন এক ভার্চুয়াল সভার পরিচালনা করতে চলেছেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি।

তবে মমতা ব্যানার্জি তথা সমগ্র শাসকদলটির কাছেই ২১ জুলাই একটি বিশেষ আবেগের দিন। এই দিনটিকে তৃণমূল শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন তরুণ তুর্কি রাজনৈতিক নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে যুব কংগ্রেসের একটি সভায় কলকাতা পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ১৩জন কংগ্রেস কর্মী। সেদিন লাঠির বাড়ি পড়েছিল মমতা ব্যানার্জির মাথাতেও। সেই রক্তক্ষয়ী দিনটিকে স্মরণে রেখে ২১ জুলাই আজও শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতেই সেদিন বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়েছিল যুব কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। তখন বাংলায় চলছে বাম জমানা। এরপর তৃণমূল ক্ষমতায় এলে এই ২১ জুলাই দিনটি এখন লাখো কর্মী সমর্থকের সমাবেশে দলের পেশিশক্তি প্রদর্শনের দিন হয়ে গিয়েছে। আরও পড়ুন- Chinese Apps Banned by Indian Government: টিকটক, হ্যালো, ইউসি ব্রাউজার সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা জারির পথে ভারত সরকার

যাইহোক আগামী বছরেই রাজ্যে বিধানসভার ভোট। তার আগে মহামারী করোনাভাইরাসের জেরে সমস্ত মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শহিদ দিবস পালনের জন্য বিরোধী বিজেপি শিবিরের অনুকরণে দুটি ভার্চুয়াল ব়্যালি করতে চলেছেন মমচা ব্যানার্জি, প্রসঙ্গ অবশ্যই শহিদ দিবস। এজন্য জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ও ইউটিউবকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। এতদিন তৃণমূলের শহিদ দিবসে বিরোধী সিপিএমকেই নিশানা করে তোপ দেগে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবছর রাজ্যে রাজনৈতিক চিত্রটা নিঃসন্দেহে ভিন্ন। তাই সিপিএম নয় বিজেপি শিবিরকেই পাখির চোখ করছেন মমতা ব্যানার্জি। দিদির জনসংযোগ নিয়ে বলার কিছুই নেই। মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অসাধারণ। তবুও এবার ঠিক কীভাবে কাজ শুরু হবে তার একটা লেখচিত্র ৩ তারিখের বৈঠকে তৈরি হবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা শিশির অধিকারী।