কসবায় গণধর্ষণের ঘটনা (Kasba Gang Rape Case) নিয়ে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। যদিও এই ঘটনার তদন্তে নেমে ১২ ঘন্টার মধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার এই ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে নেমে কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে সিট। অভিযোগ, ঘটনার সময়ে কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই রক্ষী। তারপরেও কেন সেই গার্ড রুমে ঘটনাটি ঘটল, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। সূত্রের খবর, যখন মনোজিতদের হাত থেকে নির্যাতিতা বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল, তখন নাকি কলেজের মেন গেটে তালা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন ওই রক্ষী। তবে পুলিশের তরফ থেকে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।

গ্রেফতার আরও এক

এই তদন্তকারী দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এসিপি প্রদীপ কুমার ঘোষাল। আর তদন্তের শুরুতেই ওই নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে সিট। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে লিখেছিলেন, মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর কলেজে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। সেই কারণে নিরাপত্তারক্ষীও তাঁকে বাধা দিতে আসেনি। এদিকে কসবা কাণ্ডে নির্যাতিতার মেডিকেল রিপোর্ট সামনে এসেছে। রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে, গলায়, ঘাড়ে, বুকে আচড়ের চিহ্ন রয়েছে।

কসবায় গণধর্ষণ কাণ্ড

প্রসঙ্গত, গত বুধবার কসবায় অবস্থিত ল কলেজের গার্ড রুমের মধ্যে ধর্ষণ করা হয় এক তরুণীকে। তরুণী ওই কলেজরই প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হলে মনোজিৎ মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জায়েদ আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। তিনজনের মধ্যে মনোজিৎ কলেজেরই প্রাক্তনী। এবং আলিপুর আদালতে নাকি সে প্র্যাকটিসও করত। বাকি দুজন কলেজের পাঠরত।