গত বুধবার থেকে রাজনৈতিক মহলে অন্যতম চর্চার বিষয় ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল (130th Amendment Bill)। এই বিল আইনে পরিণত হলে সমস্যায় পড়বে একাধিক রাজনৈতিক নেতা। যদিও বিরোধীদের দাবি, তাঁদের কন্ঠরোধ করতেই এই বিল আনছে এনডিএ সরকার। তবে এখন সংসদীয় যৌথ কমিটিতে আলোচনা হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই বিল আইনে কার্যকর হবে কিনা। যদিও এই বিল সামনে আসতেই তৃণমূলকে দফায় দফায় কটাক্ষ করে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি।

কী বলছেন রাহুল সিনহা?

শুক্রবার বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, “এই রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশকারী, দুর্নীতিবাজদের পাশে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আজও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে এই সংবিধান সংশোধনী বিলটি কার্যকর হলে শাসকদলে যে সমস্ত মন্ত্রীরা ৩০ দিনের বেশি জেলবন্দি ছিলেন, তাঁদের তো সরিয়ে দিতে হবে। সেই কারণে বিলের বিরোধীতা সবার প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেস করেছে। কারণ এই বিল আইনে পরিণত হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা অর্ধেক হয়ে যাবে”।

দেখুন রাহুল সিনহার বক্তব্য

১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিলের লাভ লোকসান

চলতি বাদল অধিবেশনে এই বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধীদের অভিযোগ, এসআইআর থেকে মোড় ঘোরাতে এবং নেতাদের ভয় দেখাতেই এই বিল আনতে চাইছে সরকার। আর এই সুযোগে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়ে বিহার নির্বাচনে জয় পেতে চাইছে তাঁরা। যদিও শাসক দলের পাল্টা দাবি, এই বিল কার্যকর হলে দেশের রাজনীতি অনেকটাই দুর্নীতিমুক্ত হবে।