কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি: গত ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দ্যা। আজ সকালে মারা যান তিনি। দেহ ময়নাতদন্ত পর পুলিশ আজ জানায়, পা ছাড়া কোনও বাহ্যিক আঘাত ছিল না মইদুলের। এদিকে বাম পরিষদীয় নেতাদের দাবি পুলিশের মারের আঘাতে আহত হয়েই মারা যান তিনি।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মইদুল ইসলাম মিদ্দ্যার (Moidul Islam Middya Death) প্রসঙ্গে দু:খপ্রকাশ করেন। শুধু দু:খপ্রকাশ করাই নয়। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য কিংবা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। আরও পড়ুন, নবান্ন অভিযানে আহত DYFI কর্মীর মৃত্যু, ক্ষোভ উগরে দিলেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব
মইদুলের স্ত্রী বলেছেন, ‘চাকরি নেব। তিনটে মেয়ে। মেয়েদের পড়াশোনা আছে। আর আমি, বিধবা শাশুড়ি আছে। সংসার যেন ভালভাবে চলে। যেন বড় চাকরি দেয়। যেন খেতে-পরতে পারি। যে যাওয়ার সে চলেই গেছে। সংসারটা যেন ভালভাবে চলে। আমি চাকরি নেব। তবে কম পয়সার চাকরি নেব না।’
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, "যেকোনও মৃত্যুই ভীষণ দু:খজনক। কীভাবে মইদুলের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই সেটি স্পষ্ট হবে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে।" মইদুলের মৃত্যুর খবর পেতেই সুজন চক্রবর্তীকে এদিন সকালে ফোন করেন মমতা ব্যানার্জি। রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস কিংবা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
তবে মইদুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তিনদিন আগে মইদুল হাসপাতালে ভর্তি হলেও সেকথা পরিবারের কোনও ব্যক্তি কেন জানতেন না। সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি, আদৌ কী সেদিনের আন্দোলনে মইদুল ছিলেন,তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।