প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

নিউটাউন (Newtown) ধর্ষণকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার প্রধান অভিযুক্ত। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত একজন । ঘটনার দিন দেখা গিয়েছে তাঁর টোটোতে করেই নিউটাউনের লোহার গেল সংলগ্ন এলাকায় গিয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা এই টোটো চালককে খুঁজতে নিউটাউন এলাকায় খোঁজাখুজি করছিলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে একটি মলের সামনে টোটোস্ট্যান্ড থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পুলিশের জেরায় সে এই ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে। যদিও তাঁর সঙ্গে কেউ ছিল কিনা, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

পূর্বপরিচিত টোটোচালকই ধর্ষণ করে নাবালিকাকে

জানা যাচ্ছে, ধৃত যুবকের নাম সৌমিত্র রায় ওরফে রাজ। রানাঘাটের বাসিন্দা হলেও কাজের জন্য সে জগৎপুরের আদর্শপল্লীতে ভাড়া থাকত। ঘটনার দিন জগৎপুর ৭ নম্বর এলাকা থেকে ওই নাবালিকা অভিযুক্তের টোটো ধরেছিল। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সৌমিত্র তাঁর পূর্ব পরিচিত ছিল বলেই টোটোর সামনের সিটে সে বসেছিল। প্রথমদিকে গাড়িতে বাকি যাত্রীরা থাকার কারণে তাঁদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেয়। শেষে ওই নাবালিকাকে লোহার গেট এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।

সিসিটিভি ফুটেজেই চিহ্নিত হয় অভিযুক্ত

পুলিশসূত্রে খবর, ধর্ষণের পর নির্মমভাবে বছর ১৪-এর নাবালিকাকে খুন করে সে। তারপর দেহ ওখানে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় সৌমিত্র। গভীর রাতে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকের সন্দেহ হয়। তাঁরাই পুলিশে খবর দিলে দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র দেখেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। যদিও পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছে।

ঝামেলার কারণেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নির্যাতিতা

এমনকী তদন্তে এও জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন নাবালিকার মায়ের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। আর তারপরেই রেগে গিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তাঁর আরও একটি বোন রয়েছে। এবং মৃতার বাবা ভারতীয় নৌসেনায় কর্মরত। সেদিন বাড়িতে ঝামেলা হওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরোতেই ঘটে এই বিপদ।