মমতা ব্যানার্জি ও নরেন্দ্র মোদি (Photo credits : ANI)

কলকাতা, ২৫ ডিসেম্বর: কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের আজ তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বাদ যায়নি তৃণমূল ও তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক কারণেই কৃষি আইন ও কিষাণ সম্মান নিধি-র (PM Kisan Samman Nidhi scheme) বিরোধিতা তৃণমূল নেত্রী করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা নরেন্দ্র মোদিকে জবাব দিলেন মমতা। তিনি বলেন, কৃষকদের উদ্বেগের সমাধানের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করার পরিবর্তে আজ প্রধানমন্ত্রী টেলিভিশনের মাধ্যমে ভাষণে কৃষকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের সহায়তা করার জন্য তাঁর অভিপ্রায় দেখিয়েছেন। আসল সত্য এটা যে তিনি অর্ধ-সত্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।"

মমতার দাবি, "আসল বিষয়টি হল মোদি সরকার পশ্চিমবঙ্গকে সহায়তার জন্য কিছুই করেনি। তারা এখনও ৮৫,০০০ কোটি টাকার বকেয়ায় একটি অংশও ছাড়েনি, যার মধ্যে ৮,০০০ কোটি টাকার জিএসটি বকেয়া রয়েছে।" আরও পড়ুন: PM Kisan Samman Nidhi Scheme: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ বাংলা ধ্বংস করেছে, 'কিষাণ সম্মান নিধি' লাগু না করায় নিশানা নরেন্দ্র মোদির

আজ কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় ৯ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৮০০ কোটি টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর এক ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে দেশের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। ওড়িশা, অরুণাচলপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমাত্র বাংলার কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতা থেকে বাদ রয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আদর্শ বাংলা ধ্বংস করেছে। কৃষকদের বিরুদ্ধে তাঁর এই কর্মকাণ্ড আমাকে আঘাত দিয়েছে। বিরোধীরা কেন এ বিষয়ে চুপ?" মোদি বলেন, বাংলার কৃষকরা কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলা একমাত্র রাজ্য যারা এই প্রকল্পগুলির সুবিধা কৃষকদের কাছে পৌঁছতে দিচ্ছে না।"

রাজ্য সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, "রাজনৈতিক কারণে টাকা পেলেন না বাংলার কৃষকরা। তাঁদের পাশে নেই তৃণমূল, অথচ পাঞ্জাবের কৃষকদের পাশে তৃণমূল। কেন প্রকল্পের সুযোগ নিচ্ছে না বাংলা। বাংলার এই দল বাংলার কৃষকদের দুর্দশার কারণ। স্বার্থে জন্য কৃষকদের নিয়ে রাজনীতি করছে। কিছু লোক মিথ ও মিথ্যা ছড়াচ্ছে যে কৃষকরা চুক্তিচাষ করলে তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে। কিছু দল নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতা করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জোর দিচ্ছে।"