
চুঁচুড়া, ২২ ফেব্রুয়ারি: হুগলি (Hooghly) এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বাংলার ধনেখালির তাঁত দিয়ে অভ্যর্থনা জানালেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। আসন্ন নির্বাচনের আগে ফের একবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে প্রাকৃতিক গ্যাস ও একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। এবার রেল ও মেট্রোর সংযোগ আরও মসৃণ করার লক্ষ্য নিয়ে হাজির হন বলে দাবি তাঁর। বাংলায় নিজের ভাষণ শুরু করেন তিনি।
- ডানলপ ময়দানের (Dunlop Ground) সভামঞ্চে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে ধনেখালির তাঁত দিয়ে অভ্যর্থনা জানাল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
- বাংলার মানুষ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, মত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
- পরিকাঠামোর উন্নয়ন আগেই হওয়া উচিত ছিল, কোনও উন্নতি হয়নি। আর দেরি করা চলবে না। কেন্দ্রের লক্ষ্য বাংলার উন্নয়ন করা।
- মহারাষ্ট্র-শালিমার কিষান রেল, এর ফলে উপকৃত হবেন ছোট কৃষকেরা।
- ফ্রেট করিডরে লাভ পাবেন পশ্চিমবঙ্গবাসীরা।
- আজ উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ার শ্রমিক, ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুশির দিন। আজ থেকে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো চালু হয়ে যাচ্ছে।
- বাংলায় বহু মনীষীর জন্ম হয়েছে। বাংলার ঐতিহাসিক জায়গার কোনও উন্নয়ন হয়নি।
- দেশভক্তির বদলে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি হয়েছে।
- বাংলার সংস্কৃতি আরও মজবুত করার জন্য বিজেপি কাজ করবে। উন্নয়ন, বিকাশ ঘটিয়ে, তুষ্টিকরণ, তোলাবাজ রুখে দিয়ে সোনার বাংলা গড়বে।
- মা মাটি মানুষের সরকার বাংলার বিকাশের ক্ষেত্রে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলা অন্য রাজ্যের তুলনায় এগিয়ে ছিল। তৃণমূলের নেতাদের তোলাবাজির জন্য গরিব মানুষের হাতে অর্থ পৌছচ্ছে না। গরিব আরও গরিব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনা, আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা বাংলার মানুষকে পেতে দিচ্ছে না তৃণমূল।
- সারাভারতে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ পরিবারে শুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। বাংলায় মাত্র পৌনে ২ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারে জল পৌঁছেছে। কয়েক কোটি মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছতে কত বছর লেগে যাবে তার ঠিক নেই।
- ১৭০০ কোটি টাকার বেশি তৃণমূল সরকারকে দেওয়া হয়েছে। ৬০৯ কোটি টাকা তৃণমূল সরকার খরচ করেছে। বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছে টিএমসি।
- বাংলার মেয়েদের সঙ্গে অন্যায় করছে তৃণমূল। আসল পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য পদ্ম ফুল ফোটাতে হবে।
- বিগত এক দশকে হুগলি পিছিয়ে পড়েছে। হুগলিতে বড় বড় পাটশিল্প কারখানা ছিল। আগে দেশের ঘরে ঘরে মা, বোনেরা কলকাতার গুনগান গাইতেন। কলকাতায় অনেক মানুষ কাজ করতে আসতেন, প্রশংসা করতেন। আজ তার কিছুই নেই।
- এই পরিস্থিতি বদলাবে বিজেপি। কেন্দ্র সরকার ক্ষমতায় এসেই আটা, চিনির প্যাকেটে জুটের ব্যবহার করছে। হুগলির আলু চাষীদের লুটছে তৃণমূল সরকার। বাংলায় যতদিন না ফুড প্রসেসিং হাব তৈরি হচ্ছে ততদিন পরিস্থিতি বদলাবে না।
- পশ্চিমবঙ্গের এনআরআইরা বাংলার জন্য কিছু করতে চায়, কিন্তু সিন্ডিকেটের জন্য তারা কিছু করে উঠতে পারে না। সিন্ডিকেটরাজ, কাটমানি, শাসন, প্রশাসন ঠিক না হলে পশ্চিমবঙ্গে বিকাশ হবে না। বাংলার প্রত্যেক জনতা বলছে-'আর নয় অন্যায়', আমরা সকলে আসল পরিবর্তন চাই।