PM Modi Calls Mukul Roy: রাতে হাসপাতালে দিলীপ, সকালে মোদির ফোন, করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে শিরোনামে মুকুল রায়
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বিজেরি। (File Photo)

কলকাতা, ৩ জুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে বাইপাস লাগোয়া অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কৃষ্ণা রায়৷ গতকালই এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy) করোনা আক্রান্ত হলেও সেরে উঠেছেন৷ কিন্তু তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায় অসুস্থ হয়ে পড়ায়  ৩ সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি৷ বিজেপির নেতৃত্বরা তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নিচ্ছেন না৷ এই ছিল শুভ্রাংশুর ক্ষোভ৷ এরপর বুধবার বিকেলেই অ্যাপোলোতে গিয়ে কৃষ্ণা রায়ের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেসময় হাসপাতালে মুকুল রায় উপস্থিত ছিলেন না৷ তবে ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে অভিষেকের দেখা হয়েছে৷ এরপরেই রাতের দিকে কৃষ্ণা রায়ের শারীরিক অবস্থা জানতে হাসপাতালে যান দিলীপ ঘোষ৷

এমনিতেই মুকুল রায় ও শুভ্রাংশুর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে৷ এহেন পরিস্থিতিতে রাত পোহাতে না পোহাতেই দলীয় নেতাকে ফোন করে তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মুকুলবাবুকে ফোন করেন মোদি৷ কৃষ্ণা রায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ দুজনের মধ্যে বার্তালাপ হয়৷ অভিষেকের হাসপাতালে যাওয়ার পরে পরেই দিলীপ ঘোষের আগমন ও সাত সকালে মুকুল রায়কে প্রধানমন্ত্রীর ফোন যে বাংলার রাজনৈতিক মহলকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে তাতে কোনওরকম সন্দেহ নেই৷ আরও পড়ুন-Privacy Policy Row:  তুঙ্গে প্রাইভেসি পলিসি বিতর্ক, WhatsApp-র বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ কেন্দ্রের

এদিকে গতকাল যখন অ্যাপোলোতে যান অভিষেক তখন সেখানে ছিলেন শুভ্রাংশু৷ অভিষেকের খোঁজখবরের আগ্রহে তিনি নাকি আপ্লুত৷ যদিও অন্য একটি সূত্রের দাবি, কৃষ্ণা রায়কে দেখতে অভিষেক যখন হাসপাতালে এসেছিলেন তখন শুভ্রাংশু সেখানে ছিলেন না৷ দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভ্রাংশু রায়৷ কেন রাজ্যসরকারকে বার বার বিপদে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে, তার আগে যে বিজেপির আত্ম সমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে তা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি মুকুল পুত্র৷ আর অভিষেকের আগমন বিতর্ক এড়িয়ে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বললেন, “সংকটের সময় সব ভুলে গিয়ে একসঙ্গে আসাই ভালো। কষ্টের সময় একসঙ্গে থাকা উচিত। পূর্ব পরিচিত, দেখা করতেই পারেন৷”