বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি ও ছেলে অঙ্গন (Photo: Twitter)

বহরমপুর, ১২ অক্টোবর: জিয়াগঞ্জে (jiagunj murder case) বন্ধুপ্রকাশ পাল এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে খুনের ঘটনার তদন্তে আরও একজনকে আটক করল পুলিশ। তার নাম শৌভিক বণিক। পুলিশ সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে। তাকে জেরা করে কিছু সূত্র হাতে এসেছে পুলিশের৷ ঘটনার তদন্তে নেমে এর আগে ২ জনকে আটক করেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পুলিশ। ETV ভারতের খবর অনুযায়ী, গতকাল বিকেলে লালবাগের SDPO বরুণ বৈদ্যের নেতৃত্বে সিউড়ির একটি হোটেল থেকে আটক করা হয় শৌভিককে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শৌভিকের সঙ্গে নিহত বিউটি পালের বিয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল। আরও জানা গেছে, ইতিমধ্যে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে শৌভিককে। তবে, লালবাগ মহকুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

জেলা পুলিশের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে CID। শনিবার তদন্তকারীদের একটি দল জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে ঘটনাস্থানসহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন। ভবানীভবন সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে। CID-র তদন্তকারীরা আটক ব্যক্তিদর জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলেও সূত্রের খবর। পাশাপাশি যে ব্যক্তিরা খুনের পর আততায়ীদের বাড়ির পিছন দিয়ে পালাতে দেখেছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলতে পারে তদন্তকারী দল। আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যোগ দিচ্ছে সিআইডি, 'ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ নেই', প্রাথমিক তদন্তের পর জানাল পুলিশ

আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, পুলিশ এই খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে মনে করছে না। এর নেপথ্যে পারিবারিক সমস্যা অথবা আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তারা। আক্রোশের জেরে সুপারি কিলার দিয়ে বন্ধুপ্রকাশ, তাঁর স্ত্রী বিউটি এবং পাঁচ বছরের ছেলে অঙ্গনকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।