কেষ্টপুরের (Kestopur) অভিষিক্তা খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বাগুইআটি থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতেই নাগেরবাজার এলাকা থেকে কৌশিক সাহা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃত গৃহবধূর ফোন থেকে এই যুবকের হদিশ পায় পুলিশ। তারপরেই সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল টাওয়ারের লোকেশান দেখে তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়। ধৃত কৌশিককে শনিবার সকালেই আদালতে পেশ করার কথা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ফেসবুক থেকেই আলাপ কৌশিক ও অভিষিক্তার। গ্রেফতারির পর যুবককেই জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশসূত্রে খবর, গত দু'বছর ধরে তাঁদের মধ্য সম্পর্ক ছিল। প্রথমদিকে বন্ধুত্ব থাকলেও পরবর্তীকালে তা প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। অভিষিক্তা নিজের চার বছরের ছেলেকে শোভাবাজারে দাদু-ঠাকুমার কাছে রেখে কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লীতে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আর সেখানেই স্বামী অফিসে বেরিয়ে গেলে প্রেমিককে ডেকে নিতেন। এমনকী দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে আচমকাই তরুণী এই সম্পর্ক ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে চান। আর তারপর থেকেই এই সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে দুজনের মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা লাগত।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকালে মহিলার স্বামী অফিসে জন্য বেরিয়ে গেলে সাড়ে ন'টার কিছুটা পরেই বাড়িতে হাজির হন কৌশিক। সেখানে দুজনের মধ্যে বেশ ভালোই কথা কাটাকাটি হয়। অভিষিক্তা জানায় যে তাঁর স্বামী, সন্তান আছে। ফলে সংসার ছেড়ে সে বেরোতে পারবে না। আর সেই কারণেই সম্পর্কটি ভাঙতে চান। আর এই রাগেই মহিলার ওপর হামলা চালায় কৌশিক। মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ খাটে ঝুলিয়ে রেখে চলে যায়। ঘরের চাবি মহিলা ও তাঁর স্বামীর কাছে ছিল। ফলে একটি চাবি নিয়ে সামনে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় কৌশিক।