কলকাতা, ৪ জুনঃ এক রাতের মধ্যে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে কয়েক শো পরিবার। মৃতের স্তূপের মধ্যে নিজের চেনা মানুষও অচেনা। রেল দুর্ঘটনায় থেঁতলে দলাপাকিয়ে গিয়েছে লাশগুলো। সেই চেহারার দিকে যে তাকানোই মুশকিল। পরিবারের লোক কাছের মানুষকে শনাক্ত করবে কেমন করে। ভাগ্যের জোরে প্রাণে বেঁচেও গিয়েছেন বহু যাত্রী। কেউ গুরুতর আহত হয়েছেন তো আবার কেউ কম আহত হয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় জীবন নিয়ে ঘরের মানুষ ঘরে ফিরলেও ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) এই বীভৎস রূপ কখনও কি ভোলা সম্ভব। হয়ত সারা জীবন সেই রাতের হাহাকার আর্তনাদ তাড়া করে বেরাবে শালিমার থেকে চেন্নাইগামী ওই করমন্ডল যাত্রীদের। স্বাভাবিক জীবনে তাঁরা কবে ফিরতে পারবেন তা বলা কঠিন।
সোমবার নবান্ন থেকে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় বঙ্গের যে সকল যাত্রীরা আহত হননি কিন্তু ট্রমার মধ্যে রয়েছেন রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের ১০,০০০ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া তাঁদের পরিবার পিছু আগামী তিন মাস ২,০০০ টাকা এবং ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পরে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসটি (Coromandel Express Accident)। সরকারি তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছুঁইছুঁই হলেও, প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। দুর্ঘটনার পরের দিনই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মমতা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পাশে দাঁড়িয়েই রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং এককালের রেলমন্ত্রী। ফিরে দুর্ঘটনায় বাংলায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা এবং কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।