কলকাতা, ৬ জুন: ওড়িশার (Odisha) বাহানাগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে যখন ২০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেই সময় মৃত্যুপুরী থেকে ছেলেকে খুঁজে বের করলেন এক বাবা। হাওড়ার বাসিন্দা হেলারাম দাস যখন জানতে পারেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কথা, তখন তিনি সময় নষ্ট করেননি। হেলারাম সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আদরের ছেলে বিশ্বজিৎ দাসকে ফোন করেন। দুর্ঘটনায় জখম বিশ্বজিৎ ফোন ধরে কথা বলার পর হেলারাম অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে, নিজের জামাইকে সঙ্গে নিয়ে বালেশ্বরে পৌঁছে যান। বালেশ্বরে পৌঁছে গিয়ে কোথাও প্রথমে বিশ্বজিৎকে খুঁজে পাননি হেলারাম। তারপর হেলারাম কার্যত মর্গ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়ে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছেলেকে কটক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন। কিন্তু কটক মেডিকেল কলেজও বিশ্বজিৎকে ছেড়ে দেয়। তারপরও হেলারাম আশা ছাড়েননি। ছেলেকে নিয়ে সোজা কলকাতায় হাজির হয়ে, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে বিশ্বজিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার ওড়িশার বাহানাগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ঘটে। যার জেরে ২০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত প্রায় ১১০০। সেই মৃত্যুপুরী থেকে বছর চব্বিশের ছেলেকে বের করে আসেন হাওড়ার বাসিন্দা হেলারাম দাস।