ডিএ বৃদ্ধি, চাকরিহারা শিক্ষকদের চাকরি ফেরানো সহ একাধিক দাবি নিয়ে আগামী ২৮ জুলাই নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সহ একাধিক সংগঠন। কমপক্ষে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মানুষের জমায়েত হওয়ার কথা ছিল এই মিছিলে। মঙ্গলাহাট থেকে নবান্ন পর্যন্ত হত এই মিছিল। তবে তার আগে হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন আন্দোলনকারীরা। এই মিছিলের বিরুদ্ধে হাওড়া পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কোনওরকমের জমায়েত হলে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেই এই অভিযানের কোনওরকমের অনুমতি দিল না হাওড়া সিটি পুলিশ।
মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতি দায়ের করেছিল মামলা
আসলে মঙ্গলাহাটে সোম ও মঙ্গলবার করে হাট বসে। বিগত কয়েকসপ্তাহ ধরে বেছে বেছে এই দিনগুলিতে মিছিল হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। তাই এবারে যখনই সংগ্রামী যৌথমঞ্চ, পশ্চিমবঙ্গ চাকরিপ্রার্থী চাকরিজীবী চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চ সহ একাধিক সংগঠন যখন যৌথভাবে মিছিলে ডাক দেয়। তখনই তাঁরা হাইকোর্টের দারস্থ হন। শুক্রবার এই মামলার রায়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, পুলিশ অনুমতি না দিলে কোনওভাবেই ওইদিন ওই এলাকায় মিছিল বা জমায়েত করা যাবে না। আর তারপরেও যদি মিছিল হয়, এবং তাতে যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা, তাহলে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেই পারে।
মিছিলের অনুমতি দিল না হাওড়া পুলিশ
এরপরেই শনিবার হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, গত ১২ জুলাই সংগ্রামী যৌথমঞ্চ, পশ্চিমবঙ্গ চাকরিপ্রার্থী চাকরিজীবী চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চ সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। এর জবাবে ১৫ জুলাই এই অভিযানের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির থেকে এই অভিযানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। সেখানে আদালতও এই মিছিলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। সেই কারণে ওই দিন হাওড়ায় মঙ্গলাহাট থেকে নবান্ন পর্যন্ত যাতে কোনও জমায়েত না হয়, সেইদিকে হাওড়া পুলিশের কড়া নজরদারি থাকবে।