মালদা, ২৫ ফেব্রুয়ারি: পণ দিতে না পারায় গৃহবধূকে খুন (Newly Married Woman Strangled to Death)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদায়। অভিযোগ, বিয়ের সময় ২ লাখ টাকার পনের দাবি করে ছেলের পরিবার। কিন্তু বিয়ের পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও মেলেনি সেই টাকা। যার জেরে শাশুড়ি এবং স্বামী মিলে গৃহবধূকে খুন করে দেহ সিলিংয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। মালদার (Malda) কালিয়াচকের এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কাজের সূত্রে মুম্বইয়ে থাকত অভিযুক্ত ব্যক্তি। গৃহবধূর পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তদন্তের জন্য মূত গৃহবধূর দেহ পাঠানো হয়েছে পোস্ট মর্টেমে। পণের দাবিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এজাদ শেখ। আট মাস আগে প্রেম করে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন জাহানারা বিবি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার পণের দাবিতে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ২ লাখ টাকা এবং সোনার গয়নার দাবি করেছিল ছেলের পরিবার। বিয়ের পর আট মাস কেটে গেলেও গৃহবধূর পরিবার মেটাতে পারেননি তাদের দাবি। আরও পড়ুন: ECI Notification for Polls From West Bengal: রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ বাংলার ৫ সাংসদের, নির্বাচন ২৬ মার্চ
গৃহবধূর পরিবার সূত্রে খবর, প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তারা। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৪০ হাজার টাকা এবং কিছু গয়না দিলেও নিজেদের দাবিতে অনড় ছিল ছেলের পরিবার। আরও ২ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য ক্রমাগত ছেলের পরিবার মানসিক এবং শারীরিকভাবে জাহানারার উপর অত্যাচার করত ছেলের পরিবার। গৃহবধূর মায়ের মতে, বিয়ের সময় টাকা যোগাড় করতেই তাদের কালঘাম ছুটে যায়। ধারদেনায় জর্জরিত ছিলেন তাঁরা। তাই বাকি পণ মেটানোর জন্য কিছু সময় চেয়েছিলেন তাঁরা। তাতেই রাজি হয়নি এজাদ শেখ।