Arrest, Representational Image (Photo Credit: Twitter/ANI)

টানা ৯ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমের খুন হয়েছে বলেই দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। যদিও এখনও তাঁর দেহ উদ্ধার হয়নি। তবে নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, সেখানে তল্লাশি করতে গিয়ে দেখা যায় মেঝে, বেসিনে চাপ চাপ রক্ত। এরপর থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছে, বাংলাদেশের সাংসদকে নির্মমভাবে হত্যা করে দেহ লোপাট করা হয়েছে। বুধবার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে তাঁরা কেউ সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কিনা, তা এখনও পুলিশ জানায়নি।

অন্যদিকে বাংলাদেশে সরকারও এই খুনের তত্ত্ব স্বীকার করে নিয়েছে। মূলত বাংলাদেশ পুলিশ এবং ভারতের পুলিশ যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছে। এবং সেদেশের স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, আনওয়ারুলকে হত্যা করা হয়েছে এই বিষয়ে তদন্তকারী আধিকারিকরা নিশ্চিত। তবে খুনের কারণ এখনও জানা যায়নি। আর সাংসদকে যাঁরা খুন করেছে তাঁরা সকলেই বাংলাদেশি। ইতিমধ্যেই যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে কলকাতায় হাজির হন ঝিনাইদহের সাংসদ। উঠেছিলেন বিধাননগর নিবাসী এক পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। মূলত, কলকাতায় চিকিৎসার জন্যই আনওয়ারুল এসেছিলেন। কিন্তু গত ১৩ মে সেখান থেকে বেরোন দিল্লি যাচ্ছেন বলে বের হন। তারপর থেকেই হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না বাংলাদেশের সাংসদের। পরিবারের তরফ থেকে একাধিকবার ফোন করেও খোঁজ পাচ্ছিলেন না। শেষে গোপাল বিধাননগর থানায় অভিযোগ জানায়। তারপর থেকেই শুরু হয় তদন্ত।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় দিল্লিতে নয় কলকাতাতেই রয়েছেন বাংলাদেশের নেতা। এরপর খোঁজ করতে করতে হদিশ মেলে নিউটাউনে তাঁর একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এবং সেখানে এক মহিলা সহ কয়েকজনের সঙ্গে ছিলেন তিনি। এরপর ওই আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট হয় শেষ তাঁকে যেদিন প্রকাশ্যে দেখা যায় সেদিন তাঁর সঙ্গে তিন-চারজন ছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই ফ্ল্যাটে ঢোকে আনওয়ারুল আজিম। কিন্তু যখন তাঁরা বেরোয় সেই সময় কিন্তু সাংসদ তাঁদের সঙ্গে ছিল না। তারপর থেকেই খুনের তত্ত্ব সামনে আসছে।